স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ডিসেম্বর :কমলপুর থানার অন্তর্গত মায়াছড়ি পঞ্চায়েতের বরকান্ত দেববর্মা পাড়ার বাসিন্দা রাহুল শর্মা পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। ওনার স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের হেলপার। দুই ছেলে স্ত্রী সহ মোট ৪ জনের সংসার রাহুল শর্মার। রাহুল শর্মা সর্বদা আকণ্ঠ মদ্যপান করতেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আরও বাড়িতে ফিরে যান নি। শুক্রবার সকালে বরকান্ত দেববর্মা পাড়ার রাস্তার পাশে এক পুকুরে জেলেরা মাছ ধরতে গেলে জলের মধ্যে রাহুল শর্মার মৃতদেহ দেখতে পায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এলাকার লোকজন। মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। এইদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মায়াছড়ি পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সব্যসাচী গোয়ালা সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা।
খবর দেওয়া হয় কমলপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মৃতদেহ পুকুরের জল থেকে উদ্ধার করে বিমল সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য। জানা যায় রাহুল শর্মা ইতিপূর্বে বহুবার মদ্য পান করে এলাকার অন্যান্য পুকুরে পড়ে গিয়ে বেঁচে যান। এইবার শেষ রক্ষা হয়নি। মায়াছড়ি পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সব্যসাচী গোয়ালা জানান রাহুল শর্মা প্রায় সময় আকণ্ঠ মদ্যপান করত। আকণ্ঠ মদ্যপান করার ফলে পুকুরের জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। প্রাথমিক ভাবে সকলের ধারনা রাহুল শর্মা আকণ্ঠ মদ্যপান করার ফলে পুকুরের জলে পড়ে যায়। এবং তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।