আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর: সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নিয়ে যে গ্যারান্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন তার ফল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় – এই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল জয়। মোদি আছেন বলেই এই বিজয় সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষের উন্নয়ন, গরীব মানুষের উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে উন্নয়নের গ্যারান্টি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি জি মানেই গ্যারান্টি।
দেশের তিন রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল জয়ের পর রবিবার বিকেলে আগরতলায় দলের প্রদেশ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য, এদিনই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে তেলেঙ্গানা ছাড়া অন্য তিনটি রাজ্যেই বিজেপির জয়জয়কার। স্বাভাবিকভাবেই সারা দেশের বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস ও খুশির বাতাবরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ব্যতিক্রম নয় ত্রিপুরা রাজ্যও। এমনিতেই রাজ্যে ক্ষমতার মসনদে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। তাই এই জয়ে দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাসও ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।
রবিবার সকাল থেকেই টেলিভিশন ও মোবাইলে নিউজ চ্যানেলের পর্দায় চোখ ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের। পার্টি অফিসগুলিতেও জায়ান্ট স্ক্রিনে ভোটের ফলের আপডেটে নজর রাখছিলেন তারা। আগরতলার কৃষ্ণনগরস্থিত ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কার্যালয়েও ছিল এই দৃশ্য। বেলা গড়াতেই ভোটের ফল ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যায়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় – এই তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বেলা বাড়তেই দলীয় অফিসে কার্যকর্তাদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেলে শুরু হয় বিজয় মিছিল। এর আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিন রাজ্যে বিপুল জয়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানেই একটা গ্যারান্টি। সাধারণ মানুষ, গরীব মানুষের উন্নয়ন, দেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি যে গ্যারান্টি দিয়েছেন আজ সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
এদিন বিজয় মিছিলে ছিলেন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, খাদ্য ও পরিবহনমন্ত্রী শ্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব। মিছিলটি আগরতলার কৃষ্ণনগর সদর কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। হুড খোলা গাড়িতে চেপে শহরের রাজপথ পরিক্রমা করেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।