Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রয়াত হলেন রাজ্যের পদ্মশ্রী প্রাপ্ত থাঙ্গা ডারলং

প্রয়াত হলেন রাজ্যের পদ্মশ্রী প্রাপ্ত থাঙ্গা ডারলং

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ডিসেম্বর : প্রয়াত হলেন রাজ্যের পদ্মশ্রী প্রাপ্ত থাঙ্গা ডারলং। রবিবার বিকাল ৩ টায় উনাকোটি জেলার কৈলাশহরের গৌরনগর আরডি ব্লকের অন্তর্গত দেওছড়া এডিসি ভিলেজের মুরাইবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রয়াত হন তিনি। ওনার মৃত্যুতে শোঁক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ আরও অনেকে। উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন থাঙ্গা ডারলং।

 ত্রিপুরার লোকসংগীতে ওনার যথেষ্ট অবাদান রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বাদ্য যন্ত্র রোসেম সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। উনাকোটি জেলার কৈলাশহরের গৌরনগর আরডি ব্লকের অন্তর্গত দেওছড়া এডিসি ভিলেজের মুরাইবাড়ি গ্রামে ওনার জন্ম। ২০১৯ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরুস্কার পান। তার পূর্বে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ২০১৪ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান। যা চর্চাকারী শিল্পীদের দেওয়া সর্বোচ্চ ভারতীয় স্বীকৃতি। ২০১৫ সালে তিনি একাডেমিক ফেলোশিপ পুরস্কার পান। বিশেষ করে ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী পুরুস্কার পাওয়ার পর থাঙ্গা ডারলং সমগ্র দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেন। বিগত বেশকিছু দিন ধরে তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। মাঝে ওনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিক্যাল টিম গঠন করে ওনার চিকিৎসা করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ওনাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নিজ বাড়িতে ওনার চিকিৎসা চলতে থাকে। ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা রুটিন মাফিক তাঁর বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে থাকেন।

অবশেষে চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। রবিবার বিকাল ৩ টায় নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ওনার বাড়িতে ছুটে যান মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, প্রাক্তন বিধায়ক মবশ্বর আলী সহ আরও অনেকে। সকলে ওনার মৃতদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ওনার মৃত্যুতে শোঁক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ আরও অনেকে। সকলে ওনার আত্মার সদ্গতি কামনা করেন। এবং ওনার পরিবার পরিজনদের সমবেদনা জানান। পদ্মশ্রী থাঙ্গা ডারলং-এর মৃত্যুতে শোঁকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্য জুড়ে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য