স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি : সোমবার রাত সাড়ে নয়টার নাগাদ বড়জালা স্থিত মহান ক্লাব এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডেরর ঘটনা ঘটে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ১৫ থেকে ১৬ টি দোকান। দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর চিৎকার-চেচামেচি কান্নায় ভারী হয়ে যায় আকাশ বাতাস। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার দাস এবং সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা। বিধায়ক দিলীপ কুমার দাস জানান ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খবর নিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো তাদের মধ্যে কারোর ইন্সুরেন্স নেই। আগুনের সূত্রপাত নিয়ে তিনি দ্বন্দ্বে। মঙ্গলবার সকালে ফের ঘটনা স্থলে যান বিধায়ক ডাঃ দিলিপ কুমার দাস, সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা।
মঙ্গলবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া দোকান গুলি পরিদর্শন করেন মেয়র দীপক মজুমদার এবং আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে মেয়র জানান, ১৪ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি দোকান আগরতলা পুর নিগম এলাকায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে আর্থিক সহযোগিতা করা যায় কিনা সেই বিষয়ে দেখছে। এবং ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে এই জায়গায় যেন পুনরায় দোকান ঘর না তোলা হয়। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে পুর নিগম। এবং এ জায়গাটি যাতে সঠিকভাবে আগামী দিনে আগরতলা পুর নিগম ব্যবহার করতে পারে তার জন্য আলোচনা চলছে। এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে সার্ভে করে তদন্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন মেয়র দীপক মজুমদার।
ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ছুটে যান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা নিয়ে অগ্রিম কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিষয়টি তদন্ত করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে তিনি বলেন প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এবং তারা সকলেই এই দোকানের উপর নির্ভরশীল। তাদের বলা হয়েছে তারা যেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। এবং যাবতীয় তথ্য দিয়ে যদি উনার কাছে তুলে ধরা হয় তাহলে তিনি প্রশাসনের কাছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সহযোগিতার জন্য দাবি জানাবেন। এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের খাতা থেকে যেন তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয় তার জন্য দাবি জানান বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভূমিক। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণভাবে নিঃস্ব হয়ে গেছে। পরিবারগুলি সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে গেছে। সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে ন্যাশনাল ক্যালামিতিস থেকে যেন ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাঁচ লক্ষাধিক টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় তার জন্য দাবী জানানো হচ্ছে। পরবর্তী সময় বাকি ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে সহযোগিতা করা হয় তার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
অগ্নিকান্ডের স্থল ঘুরে দেখেন সিপিএম নেতা পবিত্র করও। তিনি বিধায়ক ও সদর মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের প্রাথমিক ভাবে সহায়তা করা হয়েছে। বাকী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। স্থানীয় বিধারক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ ব্যক্ত করেন সিপিএম নেতা পবিত্র কর।