স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ নভেম্বর : স্যন্দন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর সত্যতা মিললো প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসনিক প্রতিনিধি দল গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসলো বিক্রি করা দেড় দিনের শিশু কন্যা সন্তান। অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি করেছেন বলে দাবি শিশুটির বাবার! জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামী ব্লক অধীন বংশীপাড়ার দেড় দিন শিশু সন্তান বিক্রি করে দেয়। এবং এ খবরটি সংগ্রহ করার পর শুক্রবার স্যন্দন পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল খবরটি।
খবরটি মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণের পর খোয়াই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য। তেলিয়ামুড়া মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে গঠিত জাম্বু টিম বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুটি জোর তল্লাশি শুরু করে বিভিন্ন জায়গায়। মুঙ্গিয়াকামী, খুমুলুঙ সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে গোমতী জেলার করবুক থেকে সংশ্লিষ্ট শিশুটিকে শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার নাগাদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় প্রশাসনিক টিম। শেষ সংবাদ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিশুটি এবং তার মা বর্তমানে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুঙ্গিয়াকামী আর ডি ব্লকের অন্তর্গত আঠারমুরার হলুদিয়া এডিসি ভিলেজের বংশীপাড়ার খুকেন দেববর্মা দেড় দিন বয়সী কন্যা সন্তানকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিল। খোয়াই জেলার জেলাশাসক ডঃ চাঁদনী চন্দ্রন জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। আগামী দিনের শিশুটিকে কি করা হবে তা সম্পূর্ণভাবে শিশুদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত পিতার কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান সন্তান জন্ম দিল তিনি প্রতিপালন করতে পারবেন না। কারণ ঘর ভাঙ্গা, নেই কাজ। তাই অসহায় হয়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছিলেন বলে জানান মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের অসহায় কন্যা সন্তানের পিতা। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। জেলাশাসকের সাথে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা, ডি সি এম সৌরভ দাস প্রমুখ ছিলেন। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না মহাকরণ থেকে বসে যতটাই সুশাসনের মন্ত্র পাঠ করাই হোক না কেন, বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। খোকন দেববর্মার পরিবারে সুশাসন না পৌঁছানোর কারণেই সন্তান বিক্রি করতে হয়েছে।