স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ নভেম্বর : জীবনের শেষ কথা যেন ভালোবাসা! সেই অনুভূতি নিয়ে ভালোবাসে ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোবাসায় ছ্যাকা খেয়ে বহু যুবক-যুবতী এবং স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এই রোগের কোন ঔষধ না থাকলেও যেভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে চলেছে তাতে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে বহু পরিবার।
এমনি আবারও দুটি ঘটনার সাক্ষী রইল রাজ্যবাসী। দুটি ঘটনাতে প্রেমে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে জিবি হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে দুই পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে এক পরিবার হারিয়েছে তাদের কুড়ি বছর বয়সী ছেলে। ছেলেটি বাবার কাছ থেকে জানা যায়, তাদের বাড়ি উত্তর মহারানী এলাকায়। মা প্রাইভেট টিউশন এবং পিতা বিভিন্ন কাজ করে কোন রকম ভাবে সংসার পরিচালনা করেন। ছেলে পিন্টু দেবনাথ(২০) একটি মেয়ের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ায়। তারপর ছেলেটি মেয়েটির সাথে ঝগড়া করে গত দুদিন পূর্বে এসিড পান করে বসে।
পরবর্তী সময় তাকে ছটপট করতে দেখে পরিবারের লোকজনদের সংশয় হয়। তারা এসিডের গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারে সে এসিড প্রান করেছে। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় উদয়পুর হাসপাতালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় টেপানিয়া হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে পিন্টুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করে জিবি হাসপাতালে। কিন্তু দুদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর মঙ্গলবার ভোর চারটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে পিন্টু। এদিকে অপর ঘটনাটি ঘটে উদয়পুর খিলপাড়া এলাকায়। এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যা পথ বেছে নেয়। যদিও বিষ পান করার পর সে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় টেপানিয়া হাসপাতালে। তাকে টেপানিয়া হাসপাতাল থেকে ব্যবহার করা হয় জিবি হাসপাতালে। কিন্তু জিবি হাসপাতালে আনার পরও মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর। তার বয়স ১৪ বছর। নাম রিজানা পারফিন। সে উদয়পুর ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিল। দুটি মৃতদেহ এ দিন ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে জিবি হাসপাতাল চত্বরে।