আগরতলা, ২৯ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরায় করোনার প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই সমস্ত স্কুল ও কলেজ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের সাথে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজের অফিস কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার প্রকোপে গত দু-বছর ধরে পড়াশোনার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশে বিরাট প্রভাব পড়েছে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে না যাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।মন্ত্রী বলেন, স্কুল খোলা রাখার থেকে বন্ধ রাখা ঢের বেশি বিপজ্জনক, তা বলছে ইউনিসেফ। এ-বিষয়ে যুক্তি, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলে পড়াশোনায় ভীষণ ফাঁকি দেওয়া হয়। এতে শেখানো পড়া ছাত্রছাত্রীরা ভুলে যাচ্ছে। তাই, স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করেছে ত্রিপুরা সরকার।
তাঁর কথায়, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। তাছাড়া অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী একদিন অন্তর বিদ্যালয়ে উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সাথে তিনি যোগ করেন, কলেজেও অনলাইনের সাথে অফলাইন চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সমস্ত স্কুল-কলেজ পুরোদমে শুরু হবে। ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি নিয়েই খুলছে স্কুল-কলেজ।
রতনলাল জানান, আজ শিক্ষা দফতরের সচিব, দুই অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সাথে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে আগামীকাল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধের বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই বলে স্থির হয়েছে। তবে, কোবিড-বিধি সকলের অবশ্যই মানতে হবে। তিনি সাফ জানান, আগামী সোমবার থেকে যথারীতি স্কুল-কলেজ খুলছে। তবে, হস্টেলগুলি খোলার বিষয়ে এখনও আদেশ জারি হয়নি। কিন্তু হস্টেলও চালু হয়ে যাবে, এমনটাই আশা প্রকাশ করেন।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা দফতরের অধীন সমস্ত স্কুল, এডিসি পরিচালিত বিদ্যালয়, সরকার অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসা ও সমস্ত সরকারি কলেজ আগামী সোমবার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে। বেসরকারি কলেজ এবং এনআইটি আগরতলাকেও ওই সিদ্ধান্ত কার্যকরের আহ্বান জানাবে ত্রিপুরা সরকার।