স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রাজধানীর ধলেশ্বর স্থিত ১৩ নং রোড এলাকায় নাইটেঙ্গেল নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ তুলেছিল বহু রোগীর পরিবার। কিন্তু এবারের অভিযোগ অনেকটাই গুরুতর। গলব্লাডার স্টোন এবং পিত্তনালীতে স্টোন হওয়ায় গত ১৩ নভেম্বর এই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় খুকু রানী রায় নামে ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে। বাড়ি উদয়পুর রাজারবাগ এলাকায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিল বহিঃরাজ্য চিকিৎসকরা এসে রোগীর গলব্লাডার স্টোন এবং পিত্তনালীতে থাকা স্টোনটি সার্জারি করে বের করবে।
সে মোতাবেক রোগীর পরিবার রাজি হয়। এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার নাগাদ সার্জারি হয় নার্সিংহোমে। সার্জারির পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দেখা করেননি রোগীর পরিবারের সাথে। রোগীর পরিবারকে একবার রোগী দেখতে দেওয়া হয়। তখন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কা জনক ছিল। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলা হলে তারা জানান অপারেশন সফল হয়েছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। কিছুক্ষণ পর রোগী কথা বলতে পারবে। রাত বারোটা বাজার পর রোগীর পরিবার আবারো স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে জানতে চায় রোগী কথা বলবে কিনা। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে তখন আর কোন সাড়া মেলেনি রোগীর পরিবারের। যথারীতি রোগীর পরিবার নার্সিংহোম থেকে বের হয়ে পাশেই একটি বাড়িতে রাত কাটাতে যায়। ভোর চারটা নাগাদ বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে নার্সিংহোমের কয়েকজন কর্মী। এবং রোগীর পরিবারকে বলা হয় রোগীর অবস্থা সংকটজনক। জিবি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তাৎক্ষণিক নার্সিংহোমে ছুটে এসে রোগীর পরিবার লক্ষ্য করে খুকু রানী রায় আর নেই। তখনও হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছিলেন রোগীকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রোগীর পরিবার ততক্ষণে বুঝে যায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে আরো অনেক আগেই। তারপর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। রোগীর অভিযোগ অনুযায়ী কর্তব্যরত চিকিৎসকের নাম ডাঃ অমিত কুমার সিং। আরো অভিযোগ রোগীর সার্জারি পাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কথা বলার সুযোগ পায় নি। রোগীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। পরে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় জিবি হাসপাতালের মর্গে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর বুধবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।