স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত প্রকল্প গুলি থেকে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৩ মাস ব্যাপী ফের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এর নাম দেওয়া হয়েছে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা। বুধবার দেশ ব্যাপী এর সূচনা হয়। এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এদিন রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে উদযাপন করা হয় জনজাতি গৌরব দিবস। একই সাথে এইদিন প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান দ্বিতীয় পর্ব ও বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার উদ্বোধন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জলন করে এইদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন প্রকল্প ও পরিষেবার সুফল সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে যে সকল সুবিধাভোগী যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সুবিধা পাননি তাদের কাছে পৌঁছানো। এই কর্মসূচিতে জনজাতি এলাকাকে প্রাধান্য দিয়ে রয়েছে বিশেষ প্রকল্প। এই বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। দুইটি ভ্রাম্যমান গাড়ির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হবে। একই সাথে এইদিন প্রতিঘরে সুশাসন অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করা হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে যে সকল সুবিধা গুলি অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌছায়নি, সেই সকল সুবিধা গুলি অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এদিন থেকে শুরু হওয়া বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা চলবে ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
দেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বদা সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কথা বলেন। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছানো না গেলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন জনজাতিদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে আগামি প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে প্রধানমন্ত্রী জনজাতি গৌরব দিবস হিসাবে পালন করার ঘোষণা দেন। সরকারি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সুবিধা ও পরিষেবা সময়ের মধ্যে যোগ্য সুবিধা ভোগীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে এইদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিক। তিন মাস ব্যাপী যে কর্মসূচিটি নতুন ভাবে হাতে নেওয়া হয়েছে তাতে যাতে রাজ্যের সকল অংশের মানুষ অংশ নেয় তার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে কল্পতরু ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। রাজ্যে বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন সময় সরকারের প্রকল্পের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে। তাই বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির সূচনা হয় বুধবার।