স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ নভেম্বর : গ্রাম প্রধানের পরোক্ষ মদতে পঞ্চায়েতের মূল ফটকের তালা ঝুলিয়ে অবৈধভাবে অফিস কামাই করছে পঞ্চায়েতে কর্মরত সরকারি কর্মচারীরা বলে অভিযোগ। সরকারিভাবে শুক্রবার দিন কোন ছুটির ঘোষণা না থাকলেও দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পঞ্চায়েত অফিস গৃহের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। তাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পঞ্চায়েতের সুবিধা ভোগীরা ক্ষুব্ধ।
শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় এমনই চিত্র ধরা পরল তেলিয়ামুড়া আর.ডি ব্লকের অধীন দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। খবরে প্রকাশ, শুক্রবার সরকারি ভাবে নয় কোন ছুটির দিন। অভিযোগ ছুটির দিন ঘোষণা না থাকলেও পঞ্চায়েতের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ কোন এক অজ্ঞাত কারণে। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনেরা দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এসে প্রত্যক্ষ করতে পারে তালা বন্ধ পঞ্চায়েত অফিস এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও পঞ্চায়েত না খোলায় ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষজনদের।
এলাকা সূত্রে খবর, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলীয় গ্রাম প্রধান গোপাল দাস পঞ্চায়েত পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। আর এর ফলেই বিভিন্ন কাজে প্রতিনিয়ত পঞ্চায়েতে এসে সাধারণ মানুষজনদের দিনের পর দিন ধরে হয়রানির শিকার হতে হয়। সূত্রটি জানায়, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম প্রধান ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনদের সঙ্গে কোনোভাবেই সহযোগিতা করছে না। এবং পঞ্চায়েতকে ব্যবহার করে নিজের কর্মসিদ্ধি ছাড়া প্রধান বাবু আর কিছুই বোঝেন না। শুক্রবার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক কৃষক পঞ্চায়েত থেকে আর ও আর নিতে এসে দেখতে পায় পঞ্চায়েত বন্ধ। তিনি অভিযোগ করে বলেন আর ও আর নিতে এসে তালবাহানার শিকার দীর্ঘদিন ধরে।