স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ নভেম্বর : সামাজিক অবক্ষয়, নাকি বিরোধীদের তোলা অভিযোগ সন্তান বিক্রির প্রমাণ মিলল তা বলা মুশকিল। যাই হোক হাসপাতাল না গিয়ে বাড়িতে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের জন্ম হলো। কিন্তু সন্তান গর্ভে ধারণ করেই বিক্রির জন্য কথাবার্তা হয়ে যায়। আর সন্তানের জন্ম হলো মৃত। তারপর সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে নিজ হাতে মাটি চাপা দিলো মা! পরে সন্তানের মৃতদেহ খোয়াই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকার জনৈকা প্রিয়াঙ্কা ভৌমিক সন্তান সম্ভাবনা ছিলেন। হতদরিদ্র গৃহবধূ আগেও দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু কোন কারনে তার স্বামীর সাথে সম্পর্ক না থাকার কারণে সে বর্তমানে দুই অবুঝ সন্তান সহ বাপের বাড়িতেই থাকেন। এদিকে গতকাল প্রসব বেদনা শুরু হলেও প্রিয়াঙ্কা অজ্ঞাত কারণে সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই তার কোন এক নিকট আত্মীয়ের দ্বারা রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা নাগাদ প্রসব করায়।
প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য অনুযায়ী সন্তান প্রসবের পর সে দেখতে পায় তার মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। এরপরের ঘটনা রীতিমত রোমহর্ষক। অজানা কারণে সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে চেপে দিতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা এবং তার সেই নিকট আত্মীয় মিলে রাতের আঁধারেই বাড়ীর অনতি দূরে মৃত শিশু কন্যাকে মাটিচাপা দিয়ে দেয় বলে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই প্রিয়াঙ্কা এবং তার নিকট আত্মীয় আরও আশ্চর্যজনকভাবে সংশ্লিষ্ট মৃতদেহটি পার্শ্ববর্তী খোয়াই নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে খোদ প্রিয়াঙ্কা। এদিকে ঘটনা আচ করতে পেরে এলাকাবাসীরা যখন প্রিয়াঙ্কাকে চেপে ধরে তখন প্রিয়াঙ্কা সবকিছু বলতে শুরু করেন। পাশাপাশি সে এটাও দাবি করে তার পরিকল্পনা ছিল সন্তান জন্মের পরেই গোলাবাড়ি এলাকার জনৈক ব্যক্তির কাছে তার সন্তানকে তুলে দেবে। তার গর্ভকালীন অবস্থায় যাবতীয় দেখভাল করেছে বলেও জানান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসা বাদ শুরু করেছে।