স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ নভেম্বর: সরকারি হাসপাতাল গুলিতে একাংশ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অমানবিক আচরণ চাক্ষুষ করা গেল ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় শিলচরের বাসিন্দা নান্টু শিল দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ধর্মনগরের মান্ডপ পাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন পরিবারের সকলকে নিয়ে। রবিবার নান্টু শিল ভাড়া বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে নান্টু শিলের স্ত্রী তাকে চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাকে ভর্তি করা হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। সোমবার নান্টু শিল শৌচালয়ে যাওয়ার পর বাইরে থেকে নান্টু শিলের স্ত্রী একটি শব্দ শুনতে পায়। সাথে সাথে তিনি শৌচালয়ের দরজা খুলে দেখতে পান নান্টু শিল শৌচালয়ে পরে রয়েছে। সাথে সাথে তিনি ছুটে যান হাসপাতালের নার্সদের। কিন্তু নার্সরা একবারের জন্যও আসেন নি। হাসপাতালের এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চলে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর এক রোগীর পরিবারের এক মহিলা জানান নান্টু শিলের স্ত্রী নিরুপায় হয়ে শৌচালয় থেকে একা একা টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসেন। তারপর তিনি নিজে নার্সদের কাছে ছুটে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। তারপরও নার্স আসেনি। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা পরে চিকিৎসক আসার পর নার্স আসে নান্টু শিলকে দেখতে। চিকিৎসক নান্টু শিলকে দেখার পর মৃত বলে ঘোষণা করে দেন।
যদিও হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক নিজেদের গাফিলতিকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাবি করেন হাসপাতালের নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা মিলে নান্টু শিলকে শৌচালয় থেকে বের করে এনেছে। তারপর পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর দেখা যায় নান্টু শিলের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। নান্টু শীল যেই সময় শৌচালয়ে পরে গিয়েছেন, সেই সময় চিকিৎসক ও নার্সরা ছুটে আসলে হয়তো নান্টু শিলকে বাঁচানো যেত। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্স দীর্ঘ সময় পর ঘটনাস্থলে এসেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে নান্টু শিলের মৃত্যুর দায় কে নেবে। দাবি উঠেছে দপ্তর ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। অন্যথায় সরকারি হাসপাতালের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে সাধারন মানুষ।