স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ জানুয়ারি : সম্প্রতি রাজ্যে করোনা নমুনা পরীক্ষা পূর্বের তুলনায় অর্ধেকের চেয়েও বেশি কমে গেছে। সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত রাজ্যে যখন চোখ রাঙাচ্ছে তখন সংক্রমনের নমুনা পরীক্ষা হার কমিয়ে আনার পেছনে সফলতা কতটা আসবে তা ভাবিয়ে তুলেছে আপামর জনগণকে। পাল্লা দিয়ে থামছে না মৃত্যুর হার। আরো ৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সংক্রমণ। রাজ্যে সংক্রমণ কোন প্রজাতি রয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে পারেননি বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। কারণ সংক্রমণে প্রজাতি কোনটা সেটা জনসমক্ষে এখনো উঠে আসেনি।
কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। এর পেছনে মূলত প্রধান কারণ হলো সংক্রমণ সঠিক সময়ে সনাক্ত না হওয়া বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে মানুষ ঘরে বসে থাকছে। দীর্ঘ কয়েক দিন কাটিয়ে ওঠার পর যখন শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ছে তখন চিকিৎসকের সাথে দেখা করে শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরছে। পরীক্ষা করা হয় নমুনা। পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন হেল্পলাইন নম্বরের চিকিৎসক। এতে রোগীর অবস্থা যখন আরো বেশি আশঙ্কা জনক হয়ে পড়ে তখন হাসপাতালে প্রয়োজন হচ্ছে। যারা শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল তারা করোনা কাটিয়ে উঠতে পারছে না। রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে আরো ৩১০ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৫০২৭ জনের। পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত ১০৬ জন, সিপাহীজলা জেলাতে সংক্রমিত ২৩ জন, খোয়াই জেলাতে ৯ জন, গোমতী জেলাতে ৩৮ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত ৩৯ জন, ধলাই জেলায় ৩৮ জন, ঊনকোটি জেলায় ২৪ জন, উত্তর জেলায় ৩৩ জন।মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সংক্রমণের হার ৬.১৭ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬,৬৩১ জন।