স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ নভেম্বর : দুর্গাপূজা ও লক্ষী পূজা শেষ করে কালোবাজারি রুখতে সক্রিয় হয়েছে সদর এন ফোর্সমেন্ট টিম। কিন্তু সরকারি বাবুদের ছুটির সুযোগ নিয়ে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কিলোতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন পেঁয়াজের মূল্য ৭০ টাকা এসে দাঁড়ায় তখন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর সদর এনফোর্সমেন্ট টিমের কুম্ভ নিদ্রা ভেঙেছে। বুধবার মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অনিয়ম প্রত্যক্ষ করে প্রশাসনিক টিম।
যা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্তদের পক্ষে পেয়ার ক্রয় করা এক প্রকার অসাধ্য বলা চলে। অবশেষে কুম্ভ নিদ্রা ভঙ্গ করে পিয়াজের মূল্য যাচাই করতে অভিযান শুরু করল প্রশাসন। বুধবার সদর মহকুমা প্রশাসনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায় মহারাজগঞ্জ বাজারে। এনফোর্সমেন্ট টিমের আধিকারিকরা এইদিন বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করেন বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে পেয়াজ মজুত রয়েছে। রিক্সা করে পেঁয়াজ একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবহন করা হচ্ছে।
পিয়াজ বহনকারী বেশকিছু রিক্সা আটক করে এনফোর্সমেন্ট টিমের আধিকারিকরা। পেঁয়াজ ক্রয় কিংবা বিক্রয়ের রসিদ না থাকায় বাজেয়াপ্ত করা হয় আনুমানিক ৪০ বস্তা পিয়াজ। এক আধিকারিক জানান কেন বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা যাচাই করতে এইদিন খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা শাসকের নির্দেশে মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু পিয়াজের বস্তা। সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পেঁয়াজের বস্তা গুলি। পরবর্তী সময় মহকুমা শাসক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে পিয়াজ মজুত থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারন মানুষের পকেট কাটছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযানে পেঁয়াজের মূল্য কতটা নিয়ন্ত্রনে আসবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ প্রশাসন দুর্গাপূজার আগেও বাজার অভিযান করে শুধু ব্যর্থতারই পরিচয় দিয়েছে। দুর্গাপূজার মধ্যে পেঁয়াজের মূল্য ৪০ টাকা থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন আধিকারিকরা। কিন্তু দেখা গেছে মূল্য কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে ছিল না। দশমীর দিন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা কিলো। যা মানুষের পকেট কাটার ফন্দি অসাধু ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে সে মূল্য দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছুঁই ছুঁই।