স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জানুয়ারি : একটা সরকারের প্রধান দায়িত্ব শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন। এটা এই সরকার করেছে। যা করেছে ত্রিপুরার মানুষ করেছে। পূর্বতন সরকার আর বর্তমানের রাজ্যের মানুষের সরকার কি করেছে তার মধ্যে পার্থক্য সবার সামনে রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পুরনো সরকার মানুষকে তাতানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। বুধবার বাধারঘাট মন্ডলের উদ্যোগে ডুকলী ব্লক কমিউনিটি হলে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রথমবার রাজ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সফল ওপেন হার্ট সার্জারির পর কিডনির সমস্যার সমাধান কল্পে, রাজ্যেই উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অত্যাধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন নেফ্রোলোজি বিভাগ সূচনার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অত্যাধুনিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও পরিষেবার প্রদানের দ্বারা শীঘ্রই রাজ্যে বাইরে রেফারের সংখ্যা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
বিগত দিনের নিয়োগের পদ্ধতিগত জটিলতায় অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বর্তমানে স্বচ্ছ নিয়োগ পদ্ধতির দ্বারা চাকরির ভবিষ্যৎ স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত হয়েছে। পুরনো সরকার আত্মীর স্বজনদের চাকুরী দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিল। তাদের নিয়োগে স্বচ্ছতা ছিল না। যার উদাহরণ ১০৩২৩। বর্তমান সরকার যা চাকুরী দিয়েছে তা জীবনে কোন দিন যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সন্তুষ্টি মানুষকে সফলতা এনে দেয়। আহা মানুষকে কোন সাফল্য এনে দেয়না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই ভাবে থাকলে জীবনে শান্তি আসবে না। যা পেয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থেকে আগামীর পরিকল্পনা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। তাতে জীবনের সুখী ব্যক্তিত্ব হওয়া যায়। দলীয় কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান পুরোদমে সংগঠন ও দলের জন্য কাজ করার জন্য। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ গুলি সম্পর্কে অবগত করতে। জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে টিকাকরণ-সহ একগুচ্ছ সহায়তার সুফল হিসেবে রাজ্যের প্রত্যেক পরিবার কোনো না কোনো ভাবে উপকৃত হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা, বিধায়িকা মিমি মজুমদার, পূর্বদয়া সামাজিক সংস্থার সাধারন সম্পাদিকা নীতি দেব সহ অন্যান্যরা। ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে, অর্গানিক পদ্ধতিতে ড্রাগন ফল সহ নানান ধরনের সবজির ফলন হচ্ছে l পঞ্চায়েত সমিতির পরিত্যাক্ত জমিতে রাসায়নিক প্রয়োগমুক্ত উৎপাদিত সবজিগুলি একদিকে যেমন স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে এই গুলি বিক্রি করে আর্থিক উপার্জনও হচ্ছে l গতানুগতিক কাজের পাশাপাশি, বৃক্ষ সৃজন, ফুল, ফল বা সবজি ফলানোর মত উদ্যোগ, সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সুস্থ মননেরও সহায়ক হবে। এদিন এই অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ঘুরে দেখে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।