স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ অক্টোবর : দুর্গাপুজোর পরেই ঘরে ঘরে পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ধনদেবী লক্ষ্মীর বিশেষ অর্চনা হয়। এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ প্রচলিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ দেন।
কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। তাই লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে সনাতন ধর্মে। যে ভক্ত রাত জেগে আরাধনা করেন, তাঁকে ধনদেবী আশীর্বাদ বর্ষণ করেন৷ তাঁর ঘর ভরে ওঠে ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধিতে। এবং লক্ষ্মীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় জ্বলে ওঠে প্রদীপ। গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে কাঁসর ঘণ্টায় মুখরিত হয় আকাশ-বাতাস। শনিবার লক্ষ্মী পূজাতে কেন্দ্র করে শুক্রবার মিষ্টান্ন ভান্ডার, ফল-ফুলওয়ালা, মিষ্টির দোকান সকলেই ব্যস্ত দেখা গেছে।
যাইহোক জমজমাট কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বাজার। শনিবার ধনদেবী লক্ষ্মীকে ঘরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বটতলা সহ বেশ কয়েকটি বাজারে লক্ষ্য করা গেছে উপচে পড়া ভিড়। ব্যস্ত লক্ষ্মী মূর্তি বিক্রেতারা। তবে বাজারে মূর্তি ব্যবসায়ীরা তেমন খুশি নয়। কারো মুখে হাসি থাকলো সেটা সীমিত। আবার কারোর মুখে হাসি নেই বলা চলে। এক মূর্তি বিক্রেতা জানান, বাজারের খুব মন্দা অবস্থা। বিশ্বকর্মা পূজা, দুর্গাপূজা এখন লক্ষ্মীপূজা সহ কোন পূজার বাজার এবার ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটাতে পারছে না। মূর্তির মূল্য আট শতাধিক থেকে শুরু করে ১৭০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত। এবং বাজারে এতটাই খারাপ অবস্থা শূন্যে আছে লক্ষী বলে জানান। অপর এক ব্যবসায়ী জানান বিগত বছর থেকে লক্ষ্মী প্রতিমার মূল্য তেমন বৃদ্ধি পায়নি। বাজার তেমন মন্দা অবস্থান নয়। মূর্তি বিক্রি বাজারের স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বটতলা সহ বেশ কয়েকটি বাজারে সারিবদ্ধভাবে মূর্তি বিক্রেতারা বসেছে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অভিমত হলেও লক্ষী পূজা ঘরে ঘরে হয়ে থাকে। সকাল থেকে ক্রেতারা বাজারে ভিড় করেছে। ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে সকলের মধ্যে।