স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ অক্টোবর : মেরা মাটি মেরা দেশ কর্মসূচি অঙ্গ হিসেবে রাজ্যভিত্তিক এক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। এদিন সার্কিট হাউজ থেকে এক মিছিল শুরু হয়ে মহাকরণের সামনে এসে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে এই অমৃত কলস আসে। আগরতলায় থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে কলসগুলি পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়
। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী বিধায়কদের এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার জন্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান।স্ক্রেপ গার্ডেনে এইদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফলক উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। পরে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা সেখানে বৃক্ষ রোপণ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বলেন ভারতবর্ষকে মাতৃভূমি বলা হয়। ভারতবর্ষের গর্ভে সকলের বসবাস। কিন্তু কেউ একবারও চিন্তা করেন না যে মাটির উপর দিয়ে সকলে চলাচল করে সেই মাটির মহত্ব কি। যেই বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবে না, সেই বিষয়টিকে দেশের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করিয়ে দেন।
আমার মাটি আমার দেশ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ কাউন্সিল থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে অমৃত বাটিকা তৈরির জন্য। দেসাত্মবোধক চিন্তা ধারা থেকে এইটা করা হয়েছে। বিদেশি শত্রু দেশকে আক্রমণ করলে তখন সকলের মধ্যে দেসাত্মবোধক চিন্তা ধারা জাগ্রত হয়। দেশের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে। তার জন্য সর্বদা সকলকে এক হয়ে থাকতে হবে। দেসাত্মবোধক চিন্তা ধারা নিয়ে চলতে হবে। প্রথমে দেশ তারপর অন্যকিছু, এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলতে হবে। দেশের জন্য যারা আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাদেরকে সর্বদা স্মরণ করতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব জে.কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। কচিকাঁচা শিল্পীরা এইদিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে এইদিন সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনিয়।