স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ অক্টোবর : দুর্গাপূজার আগে এক লাফে বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুৎ মাশুল। সরকার রেগুলেটরি কমিশনের দোহাই দিয়ে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি থেকে দায় এড়িয়ে গেলেও, রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এবং জনসাধারণ এর দায় সরকারের কাধেই চাপিয়ে চলেছে। এবং গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বিরোধীরা মাঠে ময়দানে থেকে সরকারের কর্মী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছে। ব্যতিক্রম হয়নি সোমবার।
অবিলম্বে বর্ধিত বিদ্যুৎ মাশুল প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ বন্ধ করা , বিদ্যুৎ পরিষেবার বেহাল দশা দূর করার দাবিতে সোমবার ভুতুরিয়া স্থিত বিদ্যুৎ নিগমের প্রধান কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টার গন অবস্থান সংগঠিত করে সিপিএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটি। এই গনঅবস্থানে অংশ নেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। বেসরকারিকরণ বর্তমান সরকারের মূল আর্থিক নীতি। এই নিতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে সিপিএম। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৭ টি সাব ডিভিশন এবং ৫ টি ডিভিশনকে বেসরকারি করণ করা হয়েছে। নিগম তার দায় দায়িত্ব কোম্পানীর হাতে ছেড়ে দিচ্ছে। পরিষেবা সঠিক না রেখে বর্ধিত মূল্য চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের এই খামখেয়ালিপনার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তুষ্টি । গনঅবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন সিপিএম পশ্চিম জেলার সম্পাদক রতন দাস।
আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা মানিক দে বলেন, ২০১৮ সালের আগে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের বিদ্যুতে আয় ব্যয় দুটোই সামঞ্জস্য রেখে ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সেই সামঞ্জস্য না থাকায় ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে পর থেকে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করে চলেছে। কিন্তু তারা আবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে বলছে বিদ্যুৎ মাশুল ২০১৮ সালের পর বৃদ্ধি পায়নি। এটা সম্পূর্ণভাবে অসত্য কথা বলে দাবি করেন মানিক দে। তিনি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন ২০১৮ সালের পর বিভিন্ন ট্যাক্স এর মাধ্যমে মানুষের উপর বিদ্যুতের বুঝা চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন আরো বেশি জোরদার করার জন্য আহ্বান জানান।