স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ অক্টোবর : ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছরের বিধায়ক থাকার পর এবার নিজ মুখে এলাকার অনুন্নয়নের কথা স্বীকার করলেন ডাক্তার দিলীপ দাস। চার বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের গোয়ালা বস্তি এলাকাটি সার্বিক দিক দিয়ে এতটা অনুন্নত হয়ে আছে যেখানে সুশাসনের ছোঁয়া লাগেনি বলে চলে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সুট কোট পড়ে বিধানসভায় গেছেন এলাকার তৎকালীন বিধায়ক ডাক্তার দিলীপ দাস। কিন্তু গলাবস্তি হাল ফেরাতে পারেননি তিনি।
এর পরিণাম ২০২৩-এ যা হওয়ার তাই হলো বলে মনে করছে এলাকায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ডাক্তার দিলীপ দাস প্রাক্তন বিধায়ক বলে পরিচিত। যাইহোক রবিবার বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের ৪ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে স্বাস্থ্য ও জনসচেতনতা শিবিরের আয়োজন হয়। সেখানে তিনি উপস্থিত থেকে নিজমুখী এলাকার অনুন্নয়নের কথা স্বীকার করলেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, গোয়ালা বস্তি এলাকাটি রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সব দিক থেকেই অনুন্নত। সরকারি সহযোগিতা মানুষের কাছে পৌঁছাতে আজকে স্বাস্থ্য ও জনসচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
যাতে করে এলাকার মানুষ সঠিক পরিষেবা পেতে পারে। তবে এই গোয়ালাবস্তি এলাকায় যদি গত পাঁচ বছর সঠিকভাবে উন্নয়ন হতো তাহলে হয়তো তিনি বিধায়ক থাকতেন। বাম আমলের মতেই গত পাঁচ বছরে এলাকায় বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আওয়াজ পৌছায়নি বিধানসভা পর্যন্ত। তাই ২০১৮ -এর পর বাম আমলের চিত্র পাল্টায়নি এলাকায়। নিউ হিন্দি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে আয়োজিত এদিনের মেগা স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, এ ধরনের স্বাস্থ্য শিবির অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ২০১৮ সালের পর স্বাস্থ্য পরিষেবা রাজ্যে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। যার ফলে রোগীদের বাইরে রেফার করার প্রবণতা কমেছে বলে দাবি করেন মেয়র। আয়োজিত শিবিরে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। পরবর্তী সময় অতিথিরা স্বাস্থ্য শিবির পরিদর্শন করেন।