স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ অক্টোবর : উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম রাজ্য মনিপুরে যখন গত কয়েক মাসে ভ্রাতৃ ডাঙ্গায় অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়ে আছে তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জনজাতিদের উস্কে দিলেন রাজ্যের তথাকথিত মুকুটহীন রাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি শনিবার গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবিতে এডিসি -র সদর দপ্তর খুমুলুঙে এক জনসভা থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সমস্ত জনজাতি দলগুলিকে নিজ সাংবিধানিক দাবি আদায়ের জন্য থানসার আহবান করলেন।
যাতে আওয়াজ দিল্লী পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। যদিও গত এডিসি নির্বাচনের আগে থেকে রাজ্যের মাটিতে থানসার আহবান করে ব্যর্থ হয়েছেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তারপরও আবার লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনজাতিদের উস্কে দিয়ে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ সৃষ্টি করার জন্য এবং নিজের রাজনৈতিক দলকে জাতীয় স্তরে স্থান দেওয়ার ফায়দা নিতে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছেন প্রদ্যুৎ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতে করে জল ক্রমশ ঘোলা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণে নেই গোপন বোঝাপড়ার প্রধান চালিকাশক্তি শাসক দল।
এদিন তথাকথিত মহারাজা বক্তব্য রেখে আরো বলেন জনজাতিরা আগে ক্ষমতা চায় না, চায় অধিকার। তাই দিল্লি থেকে ললিপপ দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। আগামী নভেম্বর মাসে পূজার পর দিল্লির ঘুম ভাঙতে জমিতে লড়াই করতে নামতে হবে। এর জন্য প্রস্তুত থাকতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান প্রদ্যুৎ। তিনি আরো বলেন দিল্লির সাথে কোন ধরনের আপোষ করা হবে না। আরো বলেন জাতিরা গরীব হতে পারে কিন্তু ভিক্ষুক নয়। তাই লড়াই ততক্ষণ চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবি পূরণ হবে। কিন্তু যারা পদের জন্য নতুন করে দল তৈরি করছে বা দল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে তাদের ক্ষমা করবে না জনজাতিরা বলে জানান তিনি। প্রদ্যোতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাও এদিনের সভায় অংশ নেন। তিনি জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ত্রিপুরায় তিনি এসেছেন জনজাতিদের সঙ্গ দিতে। আয়োজিত সমাবেশে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রদ্যোতের উসকে দেওয়া ভাষণ হয়তো লোকসভার ফায়দা লুট ছাড়া আর কিছু নয়। সবটাই রাজনৈতিক মহলে কাছে অক্সিজেন আদান প্রদান শাসক বনাম প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে।