স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : দেশে ১৯৬৫ সাল থেকে দেশ রক্ষার কাজ করে যাচ্ছে বি এস এফ। দেশের অখন্ডতা ও নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বি এস এফ। ত্রিপুরা ফ্রন্টইয়ার ইতিমধ্যেই রাজ্যে বেশ কিছু কাজ করেছে। যে কারনে পুরষ্কার পেয়েছে। কোভীড পরিস্থিতিতে বি এস এফ তার ভূমিকা পালন করেছে। সীমান্তবর্তি এলাকা গুলিতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশকেও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শালবাগান স্থিত বি এস এফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ২০২১ সালের সাফল্য গুলি তুলে ধরতে গিয়ে এই কথা জানান বি এস এফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আই জি সুশান্ত কুমার নাথ। ২০২১ সালে এন এল এফ টি বিএম গোষ্ঠীর ৬ জন সদস্য বি এস এফ -র কাছে আত্ম সমর্পণ করেছেন। এখনো পর্যন্ত ৩১ জন জঙ্গী সদস্য আত্ম সমর্পণ করেছে বি এস এফ-র কাছে। ২০২১ সালে ৩৫.৬৪ কোটি টাকার উপর গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, এসকফ, ফেন্সিডিল, আটক করেছে বি এস এফ। একই সঙ্গে গরু পাচার বন্ধ করতে সাফল্য পেয়েছে। ২৪ কোটি টাকার উপর গাঁজা বাগান ধবংস করেছে বি এস এফ। সিমান্তে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ২০২১ সালে ২২১ জনকে আটক করেছে বি এস এফ। ১ কোটি টাকার উপর সামগ্রী সিভিল এক্সেন পোগ্রামের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান বি এস এফ -র আই জি সুশান্ত কুমার নাথ। এর পাশাপাশি ক্রিড়া ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করেছে ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার।
সীমান্তে কাটাতার নির্মাণের ক্ষেত্রে বি এস এফ বিশেষ ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ত্রিপুরাকে নেশা মুক্ত করতে বি এস এফ বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। মূলত সীমান্ত এলাকায় নেশা সামগ্রী গুলি কাঁটাতারের এপার থেকে ওপার ঢিল দিয়ে ফেলা হয়। এরপর সরে যায় পাচারকারীরা। সেই কারনে এই পাচার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের আটক করা সম্ভব কর হচ্ছে না। তবে কিছু পাচারকারীর নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ও এজিন্সিগুলি তদন্ত করলেই তাদের আটক করতে পারে বলে জানান বি এস এফ-র আই জি সুশান্ত কুমার নাথ।