স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ অক্টোবর : তোল্লাবাজির অভিনব ফন্দি। এবার পুলিশকে ব্যবহার করে তুল্লা আদায়ে নেমেছেন অসাধু ব্যবসায়ী। কয়েক মাস আগে রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক দপ্তর থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়, সমস্ত গাড়ির পেছনে এবং সামনে রেডিয়াম যুক্ত কাগজ লাগানোর জন্য।
অভিযোগ সেই রেডিয়াম কাগজ লাগানোর নামে ধান্দাবাজিতে নেমেছে রাজ্য পুলিশের একাংশ অফিসাররা বলে অভিযোগ। গত দুইদিন যাবত উদয়পুর মহকুমার বাগমা পুলিশ ফাঁড়ি থানার নাকা পয়েন্ট পুলিশকে ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনকারী গাড়ি দাঁড় করিয়ে বহিরাগত দুই তিন জন লোক বিভিন্ন গাড়িতে রেডিয়াম লাগিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার বিনিময়ে গাড়িচালক বা গাড়ি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হচ্ছে না কোন ধরনের মানি রশিদ বলে অভিযোগ। দীর্ঘ অভিযোগের পর শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে বাগমা নাকা পয়েন্টে গেলে সাংবাদিক দেখে একপ্রকার হতভম্ব হয়ে পড়েন উদয়পুর ট্রাফিক অফিসার সহ তার সাঙ্গপাঙ্গ এবং বহিরাগতরা।
সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, তারা কোথা থেকে এসেছে ? এবং এগুলি লাগানো জন্য কোন টাকা নেওয়া হচ্ছে কিনা ? এবং যদি টাকা নেওয়া হয়, তাহলে তাদের মানি রসিদ দেওয়া হয় কিনা ? তাদের দাবি ডিআইজি রেঞ্জ থেকে নি মূলে এখানে এসেছেন। মানি রশিদের কথা জিজ্ঞেস করলে বলা হয় সম্পূর্ণ গাড়িতে রেডিয়াম লাগানোর পরে মানি রশিদ দেওয়া হবে। এদিকে উদয়পুর ট্রাফিক ইউনিটের সদ্য প্রমোশন পাওয়া এস আই তাপস চন্দ্র পাল নাকা পয়েন্টে বসে গাড়ি চেকিং এবং রেডিয়াম লাগানোর নাম করে মোটা অংকের অর্থ কামাই করে চলছে বলেও অভিযোগ গাড়ি চালকদের। এদিকে, গাড়িতে রেডিয়াম লাগাতে আসা বহিরাগত এক ব্যক্তি সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রেঞ্জ থেকে এসেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে পারবেন না, উনার পারমিশন নেই। এছাড়া দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা বারবার নাকা পয়েন্টে অবস্থান করার সময় কোন গাড়িকে আটকানো হয়নি বা রেডিয়াম কাগজও লাগানো হয়নি। অভিযোগ খাকি পোশাকের আড়ালে বাগমা নাকা পয়েন্টে রেডিয়ামযুক্ত কাগজ ব্যবহারের নামে চলছে ব্যাপক তোলাবাজি বলে অভিযোগ। ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে যান চালকদের মধ্যে।