স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ অক্টোবর : বাজারে চাল এবং শাকসবজি সহ আলু, পেঁয়াজের অগ্নি মূল্য হয়ে আছে। সদর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার অভিযান চালানো হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা এনফোর্স টিমের নিয়ন্ত্রণে নেই। এবং আসন্ন দূর্গা পূজার আগে বাজারে রূপ আরও বেশি বদলাতে শুরু করেছে। একদিকে যেমন কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর শারদোৎসবের পাক মুহূর্তে লোক দেখানো বাজার অভিযান করছে সদর মহকুমা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল।
গ্রহণ করা হচ্ছে না কঠোর পদক্ষেপ। বাজারে এখনো পেঁয়াজের মূল্য প্রায় ৪৫ টাকা। দেশের অন্যান্য রাজ্যে পেঁয়াজে মূল্য বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাজ্যের প্রধান বাজার সহ অলিগলির বাজার গুলিতে পেঁয়াজের মূল্য কোন নিয়ন্ত্রণে নেই। একইভাবে গত এক মাস আগে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের মূল্য। আর প্রশাসন অভিযান চালিয়ে হরির নাম সংকীর্তন করছে। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে মহারাজগঞ্জ বাজারে আবারো দেখা গেল প্রশাসনিক অভিযান। এদিন প্রতিনিধি দল প্রথমে অভিযান চালায় চাল বাজারে। তারপর অভিযান চালানো হয় আলু পেঁয়াজের বাজারে। সদর মহকুমা প্রশাসনিক প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেওয়া আধিকারিক জানান, গত এক সপ্তাহে কুইন্টাল প্রতি চালের মূল্য ৫০ টাকা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। অভিযান চালিয়ে আরো লক্ষ্য করা হয়েছে স্বপন সাহা নামে এক ব্যবসায়ির দোকানে প্রচুর পরিমাণে চাল মজুদ রয়েছে।
মজুত রাখা চালের কোন মেমু দেখাতে পারেনি। এমনকি দোকানের লাইসেন্স পর্যন্ত দেখাতে পারেনি স্বপন সাহা নামে এই ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সদর মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে। এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রশাসনিক আধিকারিক। পরবর্তী সময়ে আলু, পেঁয়াজের বাজার পরিদর্শন করে জানান পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের। ব্যবসায়ীরা জানান ৩৮ থেকে ৪০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তবে এক ব্যবসায়ী ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিলোতে পেঁয়াজ বিক্রি করায় সেই পেঁয়াজ বিক্রেতার বাটপারের কাগজ সিস করে দেওয়া হয়। দোকানটি সেডের মধ্যে হওয়ায় বন্ধ করা যায়নি বলে জানান প্রশাসনিক টিম। ৩৮-৪০ টাকা হলেও পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক চেয়ে অনেকটাই বেশি। এবং লক্ষ্য করা যায় প্রশাসনিক টিম বাজারে গেলে প্রতি কিলো তে পেঁয়াজের মূল্য ৫ থেকে ১০ টাকা কমিয়ে রাখেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর বাজার থেকে প্রশাসনিক টিম বাইরে বের হয়ে আসতেই শুরু হয়ে যায় আবারও ক্রেতাদের পকেট কাটার সুযোগ। প্রশাসনিক টিম যদি ঢাকঢোল না পিটিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে বাজার পরিদর্শনে যায় এবং অচেনা কর্মীদের দ্বারা যদি বাজার অভিযান চালানো যায় তাহলে বহু রাঘব বোয়াল জালে উঠবে বলে মনে করছে ক্রেতামহল।