স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ অক্টোবর : দ্রব্যমূল্য কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তার জন্য সরকার পিডিএস সিস্টেম চালু রেখেছে। অযথা মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ বন্ধ করছে সরকার। মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আসন্ন শারদোৎসব উপলক্ষে গণবণ্টন ব্যবস্থায় সুলভ মূল্যে সরিষার তেল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ এবং বিনামূল্যে ক্যানভাস ব্যাগ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, এ সরকার সমস্যা সমাধানের সরকার। পূর্বতন সরকারের মতো সমস্যা জিইয়ে রেখে সরকারে থাকার মানসিকতা নেই এই সরকারের। এ সরকারের মানসিকতা জনগণের সমস্যা সমাধান করে সেবার। এ সরকার সেবাই সংগঠনের বিশ্বাসী। তাই এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা করতে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে চলেছে সরকার। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সরকার চাকরি দিয়ে দেখার সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। সরকার কর্মসংস্থান তৈরি করতে বিভিন্ন দিকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। আখড়ার সীমান্ত রেলপথ এবং স্পেশাল ইকোনমী জোন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে সরকার বেকারদের কর্মসংস্থানের রাস্তা খুঁজে বের করছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ সরকার রাজ্যবাসীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগের জন্য মু্খ্যমন্ত্রী আরোগ্য যোজনা নিয়ে আসতে চলেছে। এতে উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ। অনুষ্ঠানে এই সিস্টেম চালু হওয়ার পর প্রথম রাজ্যে রেশন শোপের মাধ্যমে সরিষার তেল ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ভোক্তাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০৫৬ টি রেশন শোপের মাধ্যমে এই সামগ্রী প্রদান করা হবে।
১ লিটার করে কার্ড পিছু পাবে ভোক্তারা। ১২৮ টাকা বিডে তিনজন সাপ্লাইয়ের অর্ডার পেয়েছে। ক্যানভাস ব্যাগে মশুরি ডাল ১ কেজি, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ময়দা, ৫০০ গ্রাম সুজী এবং আঁটা থাকবছ। যার প্রতিটির মূল্য পড়ছে ৬৮ টাকা। এতে সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় হবে দপ্তরের। ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ব্যাগ বহিঃ রাজ্য থেকে এসে পৌঁছে গেছে। বাকী ব্যাগ গুলি সহসাই আসবে। এই ক্যানভাস ব্যাগের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ রয়েছে মডেল রেশন শোপ করার। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২০৫৬ টি রেশন শোপের মধ্য থেকে আটটি জেলা থেকে বাছাই করে ৬০০ রেশন শোপকে মডেল রেশন শোপে রূপান্তরিত করার। মুখ্যমন্ত্রী এই মডেল রেশন শোপেরও সূচনা করেন এদিন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মেয়র দীপক মজুমদার, খাদ্য জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ সচিব রাবাল হেমেন্দ্র কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিক।