স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : মা যেমন সন্তানের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় শব্দ, তেমনি মা ও সন্তানের মিলনোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাও বাঙালি সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের জীবনের সবচেয়ে বড় ও প্রিয় উৎসব। আর এই আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নতুন জামাকাপড় দিয়ে এলাকার মানুষদের সাথে উৎসবের আগাম আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। আগামী দিনেও এভাবেই এলাকার মা-বোনেদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে তিনি অঙ্গীকার করলেন।
আসন্ন শারদোৎসবের প্রাক্কালে আজ থেকে নিজের ১০-মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন বুথের বৃদ্ধা মহিলা থেকে শুরু করে আর্থিক দিক থেকে একটু পিছিয়ে থাকা মহিলাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে ভালো গুণমান সম্পন্ন জামদানি শাড়ী প্রদান করা শুরু করলেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ সন্ধ্যায় রাণীরবাজার পৌর পরিষদ কার্য্যালয় পরিসরে অবস্থিত গীতাঞ্জলি হলঘরে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রাণীরবাজার সংলগ্ন ১, ২, ৩ ও ৪ নং বুথের অন্তর্গত ৪৯০ জন মহিলাদের মধ্যে জামদানি শাড়ী বিতরণ করলেন তিনি।
শাড়ি বিতরণের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, অতীতেও তিনি মানুষের পাশে ছিলেন এবং আগামী দিনেও এভাবেই থাকবেন। শারোদোৎসবে সকল মানুষের মন চায় নতুন কাপড়ের গন্ধ পেতে। তাই ওনার ১০-মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই সকল মহিলাদের মুখে শারদোৎসবে একচিলতে হাসি ফোটানোর জন্যই ওনার ব্যক্তিগত তরফ থেকে এই উদ্যোগ। এখানে উপস্থিত মা-বোনেদের হাতে নতুন শাড়ি তোলে দিয়ে সকলের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, “সকলের তরে সকলে আমরা,প্রত্যেকে আমরা পরের তরে, “এই বাণীকে পাথেয় করেই তিনি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান। আমরা যারা বাঙালীর সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
তার বিধানসভা এলাকার মা-বোনেরা যেন একটু ভালভাবে এই উৎসবটা উদযাপন করতে পারেন, তার জন্যেই আজকে এই উপহার। আগামী দিনেও তিনি এভাবেই এলাকার মা-বোনদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন বলে জানান। তিনি গীতাঞ্জলি হলঘরে উপস্থিত সকলকে আসন্ন শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।