Thursday, January 16, 2025
বাড়িরাজ্যসুর সম্রাট কুমার শচীন দেববর্মনের ১১৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন

সুর সম্রাট কুমার শচীন দেববর্মনের ১১৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ অক্টোবর :  রবিবার সুর সম্রাট কুমার শচীন দেববর্মনের ১১৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। এদিন তথ্য, সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের শচীন দেববর্মনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা, প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন কালজয়ী শিল্পী, কিংবদন্তী এবং প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন শচীন দেব বর্মন।

 রাজ্যে ১৯ টি জনজাতি গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কৃষ্টি , সংস্কৃতি এবং পরম্পরা রয়েছে। তাঁকে পুজি করে ত্রিপুরায় অবাধ বিচরন ছিল শচীন দেব বর্মনের। নদী, খাল, মাঠ দেখেই তিনি বড় হয়েছেন। তাই তাঁর সৃষ্টিতে এগুলি বেশী ভাবে উঠে এসেছে। রাজ্যে প্রতিভার কোন অভাব নেই। যার প্রকৃত উদাহরণ শীচন দেব বর্মণ। ত্রিপুরাকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। শীচন দেব বর্মণ ত্রিপুরা এবং ভারত বর্ষের গর্ব। এতদিন মূর্তি স্থাপন করা হয়নি।

বর্তমান সরকার তাঁর মূর্তি স্থাপন করেছে। এই ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ গুনীশিল্পীদের মূর্তি বহুকাল আগেই স্থাপন করেছেন। পেছনে পেছনে চলার নীতি ছাড়তে হবে। ত্রিপুরা সর্বদা আগে আগে চলে চলবে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তা বজায় রাখতে হবে। বাংলা ভাষাকে প্রথম রাজ ভাষা করা হয় ত্রিপুরায়। বাংলা এবং ত্রিপুরার পল্লী গিতিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যান এস ডি বর্মণ। নব কুমার ঠাকুর মনিপুর নৃত্যের প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। ত্রিপুরা সংস্কৃতিতে সবার আগে চলে বলে জানান প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। সুর সম্রাট কুমার শচীন দেব বর্মনের জীবন এবং সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে হবে। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি গুলিকে সাংস্কৃতিক জগৎ এ আরো বেশী করে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য