স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ অক্টোবর : লম্বা চড়া ভাষণ ও বক্তৃতা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু কাজটা সম্পূর্ণ দুই নম্বরী করছে। রেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হবে বলে প্রচার করছে। এবং জনগণ দেখছে পাঁচ টাকার মসলার জন্য পাঁচ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্ত্রী তার ছবি খবরের কাগজে এবং রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। মন্ত্রী প্রচারের ফ্লাক্স এর জন্য রাস্তায় হাঁটার সাধ্য নেই। রবিবার সি আই টি ইউ রাজ্য দপ্তরে শ্রমিকদের দাবি দেওয়া নিয়ে ত্রিপুরা ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক রাজ্য কনভেনশনে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিআইডিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের পর রাজ্যের সাধারণ মানুষ ভালো নেই। জিনিসপত্রের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের কাজ নেই। এবং মানুষের কাজ না থাকায় বাড়িঘর নির্মাণ করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, মানুষের কাজ নেই। ফলে কমেছে নির্মাণ কাজ। আর বলেন ইট ভাটা শ্রমিকরা অত্যন্ত দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাছে। তাদের পানীয় জল, শৌচালয়, বিদ্যুৎ পরিষেবা সঠিকভাবে মিলছে না। এদিকে শ্রম দপ্তর নির্বিকার। প্রয়োজনে মালিকদের স্বার্থে কথা বলছে শ্রম দপ্তর।
এমনটাই বলে শ্রম দপ্তরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। যেখানে পাঁচজন চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেখানেই একজন চিকিৎসককে ২৪ ঘন্টা খাটানো হচ্ছে। এক প্রকার ভাবে মানুষের জীবন ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে এই বিজেপি সরকার। আর এগুলি নিয়ে যাতে মানুষ মুখ খুলতে না পারে তার জন্য ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। এর থেকে বের হয়ে আসতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে জানান মানিক দে। আয়োজিত সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।