স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জানুয়ারি : আজকের দিনটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্ম দিবস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু চেয়েছিলেন ভারতবর্ষের সামাজিক ব্যবস্থা হবে সাম্যবাদী। কেউ অনাহারে থাকবে না, খাদ্যের অভাবে কোন মানুষের জীবনহানি হবে না। ভিক্ষাবৃত্তি থাকবে না। নতুন যে সরকার হবে, সেই সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা এবং কাজের সংস্থানের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু দেখা গেছে দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও দেশ সমস্যা থেকে মুক্তি হয় নি।
বরং সমস্যা বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে দেশ ১০-১২ বছর অর্থনৈতিক দিকে নিচে দিকে চলে গেছে। এবং মধ্যবিত্ত দরিদ্রের দিকে চলে যাচ্ছে। এটা স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য কাম্য ছিল না, স্বাধীনতা আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল না। রবিবার ছাত্র-যুব ভবনে ভারতীয় গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের বামুটিয়া অঞ্চল কমিটি উদ্যোগে রক্তদান শিবিরে গিয়ে একথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা মানিক সরকার। যতদিন অর্থনৈতিক দিকে অসাম্যতা দেশে থাকবে ততদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন সঙ্গতিহীন থেকে যাবে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষ লড়াই ময়দানে আছে। একতা বাড়ছে। মানুষকে বিপথগামী করতে ফ্যাসিস্টবাদী ভাবনা নিয়ে আরএসএস সংগঠন বিজেপি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
আসলে তাদের মূল লক্ষ্য কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করা। মানুষ যাতে ঐক্য না হতে পারে তার জন্য এ ধরনের কথা বলে বিভক্ত করতে চাইছে মানুষকে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে শুধুমাত্র ভাষণ হচ্ছে, উপদেশ হচ্ছে, আরো হচ্ছে বিজ্ঞাপন। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, রাজ্যের বিজ্ঞাপনের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া আর কিছু নেই। যা বলছেন তা কাজে কাজ কিছু করছেন না। দু বছর হয়ে গেছে করোনা পরিস্থিতির। মানুষের মধ্যে শঙ্কা বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে শুধুমাত্র ভার্চুয়াল মিটিং করছেন। আর সকলে একটাই দাবি চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা। আর বিরোধী দলের পক্ষ থেকেও এটাই দাবি যেন পুরো ব্যবস্থাকে বেসরকারি পুঁজিপতিদের হাতে না ছেড়ে দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সাজিয়ে তোলা হয়। কিন্তু তারা পুঁজিপতিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ায় শুধুমাত্র লুট করছে। বাজেটের মাধ্যমে যে সব প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে সেগুলি তথ্য সংগ্রহকারী রা খতিয়ে দেখেছে শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের সুবিধার জন্য এই গুলি করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাভ হচ্ছে। তাই মানুষকে বাঁচাও আরে সরকারকে হটাও স্লোগান উঠছে। রাজ্যের মানুষ বলতে শুরু করেছে সর্বনাশ করে ফেলেছে। মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রথমে এধরনের রক্তদান শিবিরে বিরোধীদলের যুব সংগঠন গুলির আক্রান্ত হয়েছে। এখন শাসক দলে বিধায়ক আক্রান্ত হচ্ছেন। মানুষ বুঝতে পারছে এটা সম্পন্ন একটা জনবিরোধী সরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। রক্তদাতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। ২০ জন রক্তদাতা এদিন রক্তদানে অংশগ্রহণ করে।