স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ সেপ্টেম্বর : ফলাফল কি হবে সেটা আগে থেকেই ধারণা ছিল। এবং ভোটের দিন যে ধরনের রেগিংয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চাইতেও জঘন্যতম রেগিং হয়েছে। আর এটা ফলাফলের স্পষ্ট হয়েছে। কারণ ৬ মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনের সিপিআইএম প্রার্থী শামসুল হক ২০ বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৫০০০ ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে জয়যুক্ত হয়েছিলেন।
আর ছয় মাস পর শামসুল হকের ছেলে মিজান হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৩০০০ ভোট। তাহলে বুঝা যায় কতটা রেগিং হয়েছে উপনির্বাচনে। এই ফলাফলে বানিয়ে বিজেপি কিভাবে লজ্জা ঢাকবে প্রশ্ন তুললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯ টি বুথে পুলিং এজেন্ট দেওয়া গেছে। বাকি বুথে পুলিং এজেন্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি। তারপরেও সেখানকার সিপিআইএম প্রার্থী কৌশিক চন্দ ১১ হাজার ভোট পেয়েছে। এতে বুঝা যায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ফলাফল কি হতো বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। বিজেপি এই উপনির্বাচন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আগামী দিনে দেশকে কোন পর্যায়ে তারা নিয়ে যেতে চাইছে এবং কিভাবে একনায়কতন্ত্র করতে পরীক্ষার হিসেবে ব্যবহার করছে ত্রিপুরা। এটা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা। এর জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে লড়াই চলবে। কারণ বিজেপির জেনে রাখা ভালো এক মাঘে শীত যায় না। বক্সনগর এবং ধনপুরে যে ফলাফল হয়েছে সেটা জনগণের ফলাফল নয়। এটা গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিফলন বলে তীব্র সমালোচনা করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।