Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যসংশোধনাগারে রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু এক বিচারাধীন অভিযুক্তের

সংশোধনাগারে রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু এক বিচারাধীন অভিযুক্তের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : ১৪ জুলাই এডিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা বাবুল দাসের স্ত্রীর মৃত্যু হয় অগ্নিদগ্ধ হয়ে। এই ঘটনার পর মৃতার বাপের বাড়ি থেকে বাবুল দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মোতাবেক পুলিশ বাবুল দাসকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতের নির্দেশে বাবুল দাস জেল হেপাজতে ছিল। বিশালগড় কেন্দ্রিয় সংশোধনাগারে রাখা হয় বাবুল দাসকে।

 বাবুল দাসের ভাগ্নের বক্তব্য এইদিন দুপুরের দিকে ওনার নিকট বিশালগড় কেন্দ্রিয় সংশোধনাগার থেকে ফোন করে জানানো হয় বাবুল দাস অসুস্থ তাকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে জাওয়া হচ্ছে। সেই মোতাবেক বাবুল দাসের ভাগ্নে সহ পরিবারের লোকজন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যায়।

তারা বিসালগড় মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় বাবুল দাসের মৃতদেহ পরে রয়েছে। বাবুল দাসের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাকে, মুখে ও কানে রক্তের দাগ রয়েছে। বাবুল দাসের ভাগ্নে প্রশ্ন তোলেন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রিয় সংশোধনাগারে কি করে মৃত্যু হয়েছে বাবুল দাসের। এইদিকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে বাবুল দাসের। বাবুল দাসকে নিয়ে আসা কেন্দ্রিয় সংশোধনাগারের কর্মীরা জানিয়েছে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় বাবুল দাস পরে গিয়েছে। মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও নাকে, মুখে, কানে রক্তের দাগ রয়েছে। তিনি আরও জানান যেহেতু বাবুল দাস বিচারাধীন বন্দি, জেল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে, তাই তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে জিবি হাসপাতালে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হবে জিবি হাসপাতালে। প্রশ্ন হচ্ছে একজন বিচারাধীন অভিযুক্তর কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রিয় সংশোধনাগারে। কেন্দ্রিয় সংশোধনাগারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কি করে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য