স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : রোগীর মৃত্যু চিকিৎসার গাফিলতিতে নয়। খোয়াই তুলাশিখর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠা রোগী মৃত্যুর অভিযোগের স্পষ্টিকরন দিতে গিয়ে এই কথা বলেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: প্রসূন দেববর্মা। তিনি জানান, গত ১৮ ই অগাস্ট তুলাশিখর পূর্ব- রাজনগর এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ পুস্তিরাং রিয়াং তার স্বামী কর্জরাম রিয়াং সে তার স্ত্রীকে নিয়ে জ্বর এবং পেট ব্যথা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক উপসর্গ নিয়ে তুলাশিখর প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।
পরবর্তী সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে সুস্থ হওয়ার জন্য এক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন। যথারীতি পরিবারের লোকও রাজি হয়। পরবর্তী সময় কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে তাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে দেন। কর্তব্যরত নার্স সেই ঔষধ গুলি রোগীকে সময় অনুযায়ী খাওয়াতে শুরু করে । ঔষধ গুলি দেওয়ার পর ডাক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী রোগীর অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। পরবর্তী সময়ে পরিবারের লোকেরা তাকে বাড়ি নেওয়ার জন্যেও ডাক্তারের কাছে আবেদন জানায়। কিন্তু আচমকা বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকা নাগাদ চিকিৎসা চলাকালীন সেই রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা তখন তৎক্ষণাৎ তাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রেফার করার জন্য উদ্বুদ্ধ হলে তখন সেই রোগীটি মারা যায়। পরবর্তী সময়ে পরিবারের লোকজনরা প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর মৃতদাহ কে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু ঘটনার কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। হাসপাতালের ভুল চিকিৎসা ও ডাক্তার এবং নার্সের গাফিলতির কারনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
যা কিনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে শুরু করে তুলাশিখর প্রাথমিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকের দাবি তুলাশিখর প্রাথমিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কর্মী ও ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে। তার মধ্য দিয়েও ভালো পরিষেবা দিয়ে আসছেন তরা। এলাকার জনগণকে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ নেই হাসপাতালের পরিষেবার বিরুদ্ধে। তিনি আরো বলেন ডাক্তার এবং নার্সদের নাম কালিমালিপ্ত করার লক্ষ্যেই কতিপয় কিছু লোক এহেন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যা কিনা সভ্য সমাজের জন্য নিন্দনীয় বিষয়। তাছাড়া তিনি এ দিন তুলাশিখর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার দরুন রোগী মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এবং ঘটনার নিন্দা জানান। এই ঘটনাটিকে নিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবগত করেছেন বলে জানান ডক্টর প্রসূন দেববর্মা।