স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : আক্রমন করতে এসে, জনতার কেলানি খেয়ে একেবারে হাসপাতালের শয্যায় ঠাঁই হলো। ঘটনা সোমবার রাতে আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ বিলোনিয়া থানাধীন দক্ষিণ সোনাইছড়ি এলাকায়। আক্রমনকারীর নাম মিঠুন মজুমদার। কেলানি খেয়ে বর্তমানে বিলোনিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই মিঠুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভক্ত বলে দাবি করে নিজেকে বিজেপি দলের কার্যকর্তা হিসেবে জাহির করতে গিয়ে এলাকাতে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। এমনকি এই মিঠুনের সন্ত্রাসের হাত থেকে জন্মদাতা মা, বাবাও রক্ষা পায় না।
এমন অভিযোগ কান পাতলে এলাকায় শোনা যায়। নেশায় বুদ হয়ে, যখন তখন যাকে তাকে গালিগালাজ সহ এমনকি মারধরের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে মিঠুনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে নেশায় বুঁদ হয়ে মিঠুন এলাকারই সুমন দত্তের বাড়িতে গিয়ে উঠে আক্রমন করার জন্য। সেখানে গিয়ে শুরু হয় অসভ্য ভাষায় গালিগালাজ। ভেবেছিল বিজেপি যখন করি সবাই ভয়ে জুবু থুবু হয়ে থাকবে। কিন্তু মিঠুনের গালিগালাজ শুনতেই সুমন দত্তের পরিবার ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। শুরু হয় বাক বিতন্ডা। সাথে সাথে সুমন প্রাক্তন বুথ সভাপতি ও প্রধান, উপপ্রধানকে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপপ্রধান ও প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছুটে আসে। মিঠুনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সুমনের বাড়ি থেকে আনার চেষ্টা করে, কিন্তু নাছোড়বান্দা মিঠুন দলে পাল্লা ভারী হয়েছে ভেবে সুমনের মায়ের উপর আক্রমন করে বসে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তম মধ্যম দেয় সুমনের পরিবার বলে জানান সুমন। ফলে আহত হয় মিঠুন।
বর্তমানে বিলোনিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। অভিযুক্ত মিঠুনের বিরুদ্ধে বিলোনিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত মিঠুনের বক্তব্য সে বাজারে যাওয়ার সময় সিপিএমের গুন্ডারা তাকে মারধর করেছে। এ পেছনে মূলত কারণ সে রাষ্ট্রবাদী দলের সমর্থিত কর্মী। এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন দেখার বিষয় পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তে কি বের হয়ে আসে।