স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ আগস্ট : স্থানীয় বাজার কমিটির অসহযোগিতায় ব্যর্থতা প্রকাশ পেল প্রশাসনের। যার দরুন মহারাজগঞ্জ বাজার এবং বটতলা বাজারের মতো আর দুর্গা চৌমুহনী বাজারে পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খুলতে পারল না সদর মহকুমা প্রশাসন এবং খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকেরা। শেষ পর্যন্ত এই দায়ভার চাপলো এক ন্যায্য মূল্যের দোকানে। রাজ্যের প্রধান দুটি বাজার থেকে আরও ১ টাকা কিলো কম দরে অর্থাৎ ৩৭ টাকা কিলোতে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। মঙ্গলবার রাজধানীর দুর্গা চৌমুহনি স্থিত ৬১ নম্বর ন্যায্য মূল্যের দোকানে এই পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্রটি খোলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধনে ছিলেন সদর মহকুমা শাসক অরূপ দেব, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল আধিকারি, ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক সহ অন্যান্য কর্মীরা।
খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল আধিকারি বলেন বাজারে মূল্য ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিলো। তাই খাদ্য দপ্তর ও মহাকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মানুষকে স্বস্তি দিতে পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য। প্রত্যেকটি বাজারে এভাবে পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। জিরানিয়া, মোহনপুর এবং রানী বাজার সহ অন্যান্য বাজারগুলিতে এভাবে পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুর্গা চৌমহনি বাজারে কেন পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খুলতে পারে নি প্রশাসন সে বিষয়ে টু শব্দ করে নি। সূত্রে খবর নাসিকে পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে রাজ্যের অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে এক ধাক্কায় পঞ্চাশ টাকা নিয়ে দাঁড় করায়। নাসিকের পেঁয়াজ রাজ্যের বাজারে না আসলেও এই নিম্নমানের পেঁয়াজের মূল্য বানিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কেটে চলেছে। এবং কয়েকদিন লাগাতার বাজার অভিযান চালিয়ে প্রশাসন ক্রেতাদের কাছে হাস্যকর হয়েছে। কারণ প্রশাসনিক ক্ষমতা যে কতটা দুর্বল হয়ে গেছে সেটা তারা বারবারই জনসম্মুখে তুলে ধরেছে।
কারণ বাজার গুলিতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা মজুতদারের দোকানে অভিযান না চালিয়ে খুচরো বিক্রেতাদের দোকানে বারবার অভিযান চালাতে দেখা যাচ্ছে। সূত্রের খবর উপর মহলের চাপে পড়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি মহকুমা প্রশাসন। শুধুমাত্র সকাল বেলা বের হওয়ার আগে চিত্র সাংবাদিকদের ফোন করে বাজার অভিযানের নাম করে শুধুমাত্র নাটক মঞ্চ তৈরি করেছে। আর বাজার কমিটির সাথে অসাধু ব্যবসায়ীরা জোট হয়ে ক্রেতাদের পকেট কেটে চলেছে। আর এখন পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার নাম করে সাধারণ মানুষকে টুপি পরাতে চলেছে প্রশাসন। ফলে বাজারে পেঁয়াজ এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করে চলেছে বাজার কমিটির নির্দেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে আর পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে না। এতে করে প্রশাসন এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলায় তিতি বিরক্ত সাধারন মানুষ। যে নিম্নমানের পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হয়ে চলেছে তা কোনভাবেই ৩০ টাকার অধিক হতে পারে না। সুতরাং এদিকে প্রশাসনের ব্যর্থতা, অপরদিকে পকেট কাটার ফন্দি অসাধু ব্যবসায়ীদের।