স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ আগস্ট : শুধুমাত্র হিন্দুরা নয়, বহু সংখ্যা লঘু নেতাও দেশ বিভাজন চান নি। শুধুমাত্র দুই জন ব্যক্তির জন্য দেশ বিভাজন হয়েছিল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীও চান নি দেশ বিভাজন হোক। ইতিহাসকে ভুলে গেলে চলবে না।
সোমবার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমনটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। আলোচনা সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা আরো বলেন দেশ বিভাজনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাব ও বাংলার লোক।
দেশ বিভাজনের ফলে এইদেশ থেকে বহু মানুষ যেমন অজানা দেশে গেছে, তেমনি নিজ দেশ ত্যাগ করে বহু মানুষ এই দেশে এসেছে। নিজের দেশ ত্যাগ করে অজানা দেশে গিয়ে বসবাস করার বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য এইদিনের বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন। দেশ বিভাজনের ফলে নিজেদের সংস্কৃতি, পরম্পরা, সামাজিক বিষয় সব কিছুর বিভাজন হয়ে গেছে। ইতিহাসকে ভুলে গেলে চলবে না। দেশ বিভাজনের কুফল এখনো মানুষ ভুগছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আলোচনা সভার পাশাপাশি এইদিন রবীন্দ্র ভবনে ছবি প্রদর্শনেরও আয়োজন করা হয়। ফিতা কেটে এই ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। পরে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা ছবি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। দেশ বিভাজনের বিভীষিকাময় ঘটনার ছবি এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়। সবশেষে রাজধানীতে সংগঠিত করা হয় র্যােলি। রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় এই মিছিল। জাতীয় পতাকা হাতে র্যা লির অগ্রভাগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী টিঙ্কু রায় সহ অন্যান্যরা। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে।