স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ আগস্ট : সমাজদ্রোহীদের দৌরাত্ম্যে কম্পন ধরিয়েছে ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাজদ্রোহী থেকে মুক্তি চাইছে। সোমবার সুভাষপল্লী স্থিত কৌরবস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা ঘটনার বিস্তারিত জানান ৮ নং টাউন বড়দোয়ালির মন্ডল সম্পাদক অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন, নেশা ব্যবসায়ী, নিগো বাণিজ্যের সাথে জড়িত এলাকার রাজেশ দে ওরফে কানাই দীর্ঘদিন ধরে তাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সে ৩৮ নং ওয়ার্ডের সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ -র পর থেকে আগরতলা পুর নিগম এবং এম আই এফ সি – দুটি ক্ষেত্রেই সে নিগো সম্রাট। ধীরে ধীরে পেশী শক্তি কাজে লাগিয়ে এলাকার ক্লাব কমিটির সম্পাদক হয়ে যান অভিযুক্ত রাজেশ। তারপর এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে তাকে ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরে সে আরও বেশি মার মুখী হয়ে এলাকায় কায়েম করতে চায় গুন্ডারাজ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহুবার তাকে বাধা দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট তাকে বাধা দিতে গেলে ৩৫ নং বুথ সভাপতি দীপঙ্কর দে এবং রাজীব দাসের উপর আক্রমণ সংঘটিত করে। এদিন মন্ডল সম্পাদকের কাছে খবর ছিল সে তার বাড়ি কাছে নেশা কারবারিদের সাথে আনাগোনা করছে।
তখন দীপঙ্কর এবং সুমন বাধা দিতে গেলে রাজেশের ভাই রাজু ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ সংঘটিত করে দীপঙ্করের মাথায়। পরবর্তী সময় রক্তাক্ত অবস্থায় দীপংকরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিযুক্ত রাজেশ তার সিসিটিভি -র ফুটেজ থেকে বুথ সভাপতি উপর আক্রমণের ছবি গায়েব করে নেয়। এবং বুথ সভাপতি দীপঙ্কর ও রাজীবকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় বলে অভিযোগ। মন্ডল সম্পাদক আরো জানান রাজেশ ক্লাবের সম্পাদক থাকাকালীন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তোলাবাজি, নেশা সামগ্রী সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে এই ঘটনাগুলি সংঘটিত করে এলাকায় ক্লাবকে কালিমা লিপ্ত করতে চাইছে। এবং সে বর্তমান শাসকদলের সাথে জড়িত নয়। স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম ভিড়িয়ে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ। আগামী দিন যদি আহত দীপঙ্কর এবং সুমনের কোন ধরনের অঘটন হয় তার জন্য দায়ী থাকবে সমাজদ্রোহী রাজেশ এবং তার ভাই রাজু। এমনটাই দাবি করেছেন মন্ডল সম্পাদক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।