স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জুলাই : পরিবার কল্যাণ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তার স্বাক্ষর করা নির্দেশ নামা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কলাপাতা। কারণ বিগত ১৮ জুলাই স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা এক নির্দেশনামা জারি করে রাজ্যবাসীর স্বার্থে সরকারি হাসপাতালে যারা পরিষেবা গ্রহণ করতে আসে তাদের সার্বিক বিষয় চিন্তা করে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত হাসপাতালে যখন ও.পি.ডি চলবে তখন কোনভাবেই কোন প্রকারের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা এসে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে কিংবা নিজেদের ব্যাবসার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে স্থানীয় মানুষদের অসুবিধে তৈরি করতে পারবেন না।
গোটা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন হাসপাতাল সমূহের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন তাদেরকেও অবগত করা হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল গুলোর মধ্যেও বড় বড় হরফে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকের সিল স্বাক্ষর দিয়ে নোটিশ সাটানো রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দপ্তরের অধিকর্তার নির্দেশ থাকলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মহকুমা চিকিৎসা আধিকারিক সহ বিভিন্ন চিকিৎসকেরা রোগী দেখার জন্য নির্ধারিত সময়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত লাভা লাভের কথা চিন্তা করে নির্দ্বিধায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের সময় দিচ্ছেন। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা হচ্ছে মঙ্গলবার এম ও আই সি অজিত দেববর্মা দিনের ব্যাস্ততম সময়ে রোগী দেখার ফাঁকে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে একাংশ মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছে সময় দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন, যা আজ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
গোটা বিষয় নিয়ে হাসপাতালে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকা রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাথে কথা বললে তারা সরাসরি জানান আগরতলা বা বড়ো বড়ো জায়গায় নিয়মগুলো চালু রয়েছে, কিন্তু তেলিয়ামুড়ার মতো জায়গায় নিয়ম চালু হয়েছে কিনা তা তাদের জানা নেই। এ ধরনের দুর্ভোগের কারণে হাসপাতালে এখন রোগী আসতে চাইছে না। কারণ সরকারি হাসপাতাল গুলির মধ্যেও যদি এই ধরনের চরম যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, তাহলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।