স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জানুয়ারি : রাজ্যে সংক্রমণ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। লাগামহীনভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন এবং সরকারের যতটা সক্রিয় ভূমিকা ছিল ততটা সক্রিয় ভূমিকা নেই তৃতীয় ঢেউ -এ।
ফলে সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার নাম নিচ্ছে না। বিশেষ করে সংক্রমণ নিয়ে রাজ্য সরকার সম্প্রতি যেসব বিধি নিষেধ আরোপ করেছে তাতে সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে না, বরং সংক্রমণ বেলাগাম ভাবে বেড়ে চলেছে। অর্থাৎ সম্প্রতি ঘোষণা হওয়া প্রশাসনিক বিধিনিষেধের উপর সংক্রমণ নিম্নমুখী হবে না বলে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সচেতন মহলের দাবি আরও কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। নয়তো যেভাবে সংক্রমণ চোখ রাঙাচ্ছে তাতে রাজ্যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৫৪৬ জন।
এর মধ্যে সিংহভাগ সংক্রমণ পশ্চিম জেলায়। পশ্চিম জেলায় সংক্রমিত ৩৭৬ জন, সিপাহীজলা জেলাতে সংক্রমিত ২৫ জন, গোমতী জেলায় সংক্রমিত ১৯ জন, খোয়াই জেলায় সংক্রমিত ৬ জন, উত্তর জেলায় সংক্রমিত ১৭ জন, ধলাই জেলা সংক্রমিত ৩১ জন, দক্ষিণ জেলায় সংক্রমিত ৩৮ জন, ঊনকোটি জেলায় সংক্রমিত ৩৪ জন। চিন্তার কারন হলো মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তবে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা অনেকটা কম হয়েছে। কারণ মকর সংক্রান্তি কারণে পূজা পার্বণের ছিল অনেকেই ব্যস্ত। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭৫২ জনের। সারা রাজ্যে সংক্রমণের হার বর্তমানে ৯.৪৯ শতাংশ। তবে অধিকাংশ রোগী রয়েছে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে। হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছে সংক্রমণ শনাক্ত হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে ওষুধ নেওয়ার পর, রোগীদের কোন ধরনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। আবার কখনও কখনও বহু রোগীর পরিবার হোম আইসোলেশনে থেকে খাবার এবং ঔষধের ব্যবস্থা করতে পারছে না। কারণ তারা বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বিভিন্ন কারণবশত সমস্যায় পড়ছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের অন্তত খোঁজখবর নেওয়া জরুরি বলে মনে করে অনেকে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের এ ধরনের গাফিলতি অনেকের মনে ক্ষোভের দানা বাঁধছে। বর্তমানে রাজ্য কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,১৩২ জন।