স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুলাই : গঙ্গার জলের নাম করে রাজনীতি এবার বিধানসভায় বাইরে চলে এসেছে। দলের বিধায়কের অশুদ্ধ কার্যকলাপ ঢাকতে মাঠে নেমেছে শাসক দলের যুব মোর্চার ও মহিলা মোর্চার কর্মীরা। দলের মান মর্যাদা রক্ষা করতে বিউটি পার্লার থেকে সেজেগুজে শনিবার যা করার তাই করলেন ৬ আগরতলা বিধানসভার কেন্দ্রের ভাজপা নেত্রীর অনুগামীরা।
তারা এদিন হাওড়া নদীর জল কলসে নিয়ে ওম শান্তি ওম শান্তি বলে বিকেলে জট বেঁধে আসে বুদ্ধ মন্দির স্থিত বিধায়কদের পুরনো হোস্টেলের সামনে। কারণ এই হোস্টেলের মধ্যে থাকেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তাই এই হোস্টেলের ফটকে কলস থেকে জল নিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে ওম শান্তি ওম শান্তি করলেন বিজেপি নেত্রীর অনুগামীরা। তাদের সুদীপ রায় বর্মন বিধানসভায় অসংলগ্ন শব্দ উচ্চারণ করে পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। যদিও বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিধানসভা অধিবেশনে পবিত্র বিধানসভায় বসে অধিবেশন চলাকালীন সময় নীল ছবি দেখেছিলেন শাসক দলের বিধায়ক যাদব লাল নাথ। আর বিষয়টি পরবর্তী সময় সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে চলে আসার পর এটা ইস্যু হল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশনে। শুরুতেই সেদিন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন হরিদ্বারের গঙ্গাজল নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন বিধানসভা অধিবেশনে।
চেয়ার টেবিল সর্বত্রে ছিটিয়ে বিধানসভার পবিত্রতা ক্ষনিকের জন্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। আর তার পরিণাম হল শনিবার। এক মহিলার নেত্রী দাবি করেন, পবিত্র বিধানসভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ অসংসদীয়, অসাংবিধানিক ভাষা প্রয়োগ করেছেন। তাই সুদীপ বর্মনের মস্তিষ্কে শুদ্ধিকরণের জন্য গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। তবে সবটা বিষয় এখন নির্ভর করছে জনগণের উপর। আসলে কোন জায়গায় পবিত্রতা আনার প্রয়োজন রয়েছে সেটা হয়তো আগামী দিন জনগণ ঠিক করে দেবে। যাই হোক এই ধরনের রাজনীতি করে হাসির খোরাক হওয়া ছাড়া আর কিছু হওয়া যায় না সেটা অবগত নয় ভাজপা নেত্রী।