স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ জুলাই : বিধানসভা বাজেট অধিবেশনে সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়ে সমস্ত বিরোধী দলের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তাই মন্ত্রীরাও বহু রাত পর্যন্ত প্রস্তুতি নিতে বৈঠক করছেন। কিন্তু জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলা হবে বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বিধানসভা বাজেট অধিবেশনের একদিন আগে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা।
তিনি বলেন ককবরক ভাষা রোমান হরফে লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী দল তিপ্রা মথা। মুখ্যমন্ত্রী গত বিধানসভা অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন বাংলা কিংবা রোমান হরফ, যে কোনভাবেই লেখা যাবে ককবরক ভাষা। তাহলে ষ্পষ্ট ককবরক ভাষায় রোমান হরফে লেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আবার পরবর্তী সময় কমিটি গঠন করার কথাও বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির মধ্যে কোন ছাত্র সংগঠন বা ছাত্র-ছাত্রী নেই। কিন্তু যাদের জন্য এই দাবি তাদের না রেখে এই কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। তাই এই কমিটি তুলে নিতে হবে সরকারকে। সুতরাং এ সরকার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। অর্থাৎ একেক সময় একেক কথা বলছে এই সরকার। তিনি আরো বলেন, গত ৪ এপ্রিল একটি চাকরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল ২৩০ জন গ্র্যাজুয়েট টিচার নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে দেখা গেছে এস টি -দের জন্য ১৭২ টি শূন্যপদ, জেনারেলের জন্য ২৯ জন এবং এস সি ক্যাটাগরির জন্য ২৯ জনকে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু যারাই এই চাকুরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তারা জানতেন কেউ না কেউ গিয়ে হাইকোর্টে মামলা করবে। অর্থাৎ চক্রান্ত হল বিস্কুট টা দেখাবো, কিন্তু খেতে দেব না।
এটা সবটাই করা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। এবং আদালত জানিয়ে দেয় পঞ্চাশ শতাংশে অধিক সংরক্ষণ হয় না। তাই ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার নির্দেশ দেয়। এর মানে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়ার কথা বলে নি আদালত। তাই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে সরকার যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল না করে চাকুরী দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মানে। কারণ আদালত পরীক্ষা বানচাল করতে একবারও বলেনি। বেকাররা বারবার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার বসা সম্ভব নয়। এবং বারবার অর্থ ব্যয় করে পরীক্ষায় বসতে গেলে বহু টাকা ব্যয় হয় বেকার যুবক যুবতীদের। এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা।