Tuesday, February 11, 2025
বাড়িরাজ্যসমাজ পরিবর্তনের জন্য এ ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

সমাজ পরিবর্তনের জন্য এ ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : ২৫-৩৫ বছর ধরে সমাজের অবক্ষয় হয়েছে। সমস্ত জায়গায় একটা নেশার পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার এগুলি বরদাস্ত না করে পুলিশ প্রশাসন দ্বারা নেশা কারবারিদের জালে তুলছে। এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় ত্রিপুরা যেখানে সবচেয়ে বেশি নেশা সামগ্রী আটক করা হচ্ছে।

তবে ক্লাবগুলো এই দায়িত্ব রয়েছে। যারা নেশার সাথে জড়িত তাদের সঠিক দিশা দেখানো। এর জন্য সরকার ক্লাবগুলোর পাশে রয়েছে। ক্লাবগুলি এর জন্য সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারে। না হলে ধারাবাহিকভাবে প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। তাই ক্লাব এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। রবিবার যুবসমাজ ক্লাবে আয়োজিত রক্তদান শিবিরের শুভ উদ্বোধন করে এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। এদিন আয়োজিত রক্তদান শিবিরের মূল স্লোগান ছিল “যদি হই রক্তদাতা, জয় করব মানবতা।” এবং এদিন এলাকার পুকুরটি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অনুষ্ঠানে ক্লাবগুলির প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখে বলেন, ক্লাব মানে আগে আতঙ্কের বিষয় ছিল। কিন্তু এখন ক্লাবগুলি সমাজের চেহারা পাল্টে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।

 যুবসমাজ ক্লাবের সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয়। কিন্তু আজকে ক্লাবের রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করতে এসে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন ক্লাব সংস্কৃতির অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যোগা প্রতিযোগিতা, অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি সংঘটিত হচ্ছে। ক্লাবগুলির এ ধরনের কাজকর্মের জন্য তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। মুখ্যমন্ত্রী এলাকার পুকুরটির সৌন্দর্যের করার বিষয়ে বলেন, সরকার এবং পুর নিগম সমাজের পরিবর্তন করতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন সরকার পরিবর্তন দিয়ে সমাজের পরিবর্তন হয় না, সমাজ পরিবর্তনের জন্য এ ক্লাবগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ক্লাব গুলির ভূমিকা অপরিসীম। এলাকার যেকোনো সমস্যা সাধারণভাবে তারা সমাধানের পথ খুঁজে দেয়। এতে করে মানুষের অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনের দরজায় গিয়ে খটখটাতে হয় না বলে জানান। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার সহ স্থানীয় কাউন্সিলর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানের পর রক্তদান শিবিরটি ঘুরে দেখেন। এবং বলেন, রক্ত মানুষের শরীরে ভগবানের দেওয়া উপহার। তিন মাস অন্তর অন্তর মানুষ রক্তদান করে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। এর জন্য প্রত্যেককে দায়বদ্ধ হতে হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য