স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ভারী বর্ষণে ডুবলো শহর আগরতলা শহরের বিভিন্ন এলাকা। ইতিমধ্যে হাওড়া নদীর জল ফুলে আগরতলা শহরের চন্দ্রপুর স্থিত শ্রীলঙ্কা বস্তি, জেবি স্কুল সহ প্রতাপগড়, স্টিল বীজ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে শ্রীলঙ্কা বস্তির অবস্থা শনিবার রাত থেকে এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এক প্রকার ভাবে বলা যায় বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে শহরের বুক চিরে যাওয়া হাওড়া নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি।
মুষলধারে টানা বর্ষণের জেরে কাশীপুর এবং বলদাখাল এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘরেও জল প্রবেশ করেছে। এলাকায় গুলি এতটাই প্লাবিত হয়েছে যে কোথায় জমি বা কোথায় বাড়িঘর সেটাই চিহ্নিত করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর এবং প্রশাসনের জন্য। বিদ্যুতি খুঁটি এবং গাছপালা নিশানা করে পায়ে হেঁটে কোনরকম ভাবে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শাকসবজিও। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীলঙ্কা বস্তির এক ব্যক্তি জানান, রাত থেকেই জল মানুষের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ২০-২৫ টি পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী স্কুলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রশাসনের কাছ থেকে এই দিন সকাল দশটা পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।
এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কোন সহযোগিতা পায়নি। তবে এলাকাবাসী রাতেই বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় কিংবা আত্মীয় পরিজনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক মহিলা বক্তব্য তারা রাতের বেলা নিরাপদে ছিলেন। কিন্তু ভোর থেকে নদীর জল প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত তাদের ঘরে জল প্রবেশ করে নি। তবে ইতিমধ্যেই ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এদিকে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ১০ জুন রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। জুন মাসে রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কথা ছিল ৪২৭.৩ মিমি। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে ৪৬৪.৯ মিমি। এবং জুলাই মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকে ছিল কয়েক দফায় বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির যে পূর্বাভাস নেই তা বলা যাচ্ছে না এখনো। সুতরাং প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।