স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুন : উল্টো রথ ঘিরে কুমারঘাটে অনিচ্ছাকৃত যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে অবগত হতে শুক্রবার কুমারঘাট গেলেন বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার, বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ণ কর, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা এদিন কুমারঘাট গিয়ে ছুটে যান ব্লক চৌমুহনী স্থিত দুর্ঘটনা স্থলে। কথা বলেন স্থানীয়দের সাথে।
যারা এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন। তারপর তাঁরা কুমারঘাট থানায় এবং বিদ্যুৎ নিগম অফিসে ছুটে যান। কথা বলেন স্থানীয় বিদ্যুৎ নিগম অফিসের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সাথে। আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে পারেন কুমারঘাট ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ রথের জন্য আবেদন করেছিল। বিদ্যুৎ নিগমের পক্ষ থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের রোড ম্যাপ অনুযায়ী আবেদন গ্রহণ করে অনুমতি দেওয়া হয়। এবং সে অনুযায়ী রথের দিন এবং উল্টো রথের দিন রথ টানার সময় সেই রাস্তার বিদ্যুৎ লাইন শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রথের দিন সেই রাস্তা দিয়ে রথ টানা হলেও, উল্টো রথের দিন সেই রাস্তা দিয়ে রথ না নিয়ে ব্লক চৌমহনি স্হিত রাস্তাটি দিয়ে রথের মোড় ঘুরিয়ে নেয়। যার ফলে স্থানীয় কিছু মানুষ ঘটনার আগে থেকেই চিৎকার শুরু করেছিল যে বিদ্যুতিক তারে রথের চূড়া লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু যারা রথ টানাটানি করছিল তারা স্থানীয়দের কথায় কোন কান দেয়নি। যার ফলে এই দুর্ঘটনা বলে আধিকারিকরা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকারকে জানান। একইভাবে পুলিশের কাছ থেকে ঘটনার সম্পর্কে অবগত হতে গেলে কুমারঘাট থানার ওসি স্বীকার করেন যে রাস্তা দিয়ে উল্টো রথ নিয়ে যাওয়া হয়েছে , সেই রাস্তা দিয়ে রথ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তারপরেও রথ নিয়ে গেছে। এমনকি রথে চূড়া ধাতুর নির্মাণ হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পঙ্কজ দাস নামে একজন মামলা করেছেন থানায়। পুলিশ নিদিষ্ট ধারায় মামলা নিয়ে ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানান ওসি। পরে মৃতের পরিবারদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান বামফ্রন্টের প্রতিনিধি দল এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।