স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২২ জুন :বৃহস্পতিবার আগরতলা শহরের অন্যতম প্রধান বাজার লেইক চৌমুহনি এবং দুর্গা চৌমুহনি বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাপক ও নিয়ম প্রত্যক্ষ করলেন সদর মহকুমা প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে কেতাদের পকেট কাটে আগরতলা শহরের প্রধান বাজারগুলির কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।
এই সময় রাস্তায় ধ্বস নেমেছে এবং ফসল নষ্ট হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নিত্য প্রয়োজনে সামগ্রীর মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চাইতে অনেক বেশি রাখেন। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবছরো। এই কালোবাজারি রুখতে বুধবার দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বৈঠকে দপ্তরের আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন ক্রেতারা যেন সঠিক মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারে , সাধারন মানুষ যেন না ঠকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এই বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সদর মহকুমা শাসকের নির্দেশে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা অভিযান চালায় রাজধানীর দুর্গা চৌমুহনী বাজার, লেইক চৌমুহনী বাজার সহ অন্যান্য বাজার গুলিতে। এইদিন দুর্গা চৌমুহনী বাজারে গিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক দেখতে পায় আলু, পিয়াজ, ডিমের মূল্য ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত রাখছে বিক্রেতারা। অভিযানকারি দলের এক সদস্য জানান ওনারা যখন এক জন এক জন করে বিভিন্ন দোকানে যান তখন দেখতে পান ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য রাখছে বিক্রেতারা।
আবার ওনারা একসাথে দোকানে যাওয়ার পর বিক্রেতা সঠিক মূল্য বলছে। যারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য রাখছে, তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে তারা আর ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য রাখবে না। আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা, পিয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং ৪ টি ডিম ২৬ টাকা মূল্যে বিক্রয় করবে তারা। এবং যারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য নিয়েছে তাদেরকে কারন দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সদর মহকুমা প্রশাসনের এইদিনের অভিযানে খুশি সাধারন মানুষ। কারন অন্যান্য সময় প্রশাসনিক আধিকারিকরা দলবদ্ধ ভাবে অভিযানে বের হতেন এতে করে বিক্রেতারা সতর্ক হয়ে যেতেন। ফলে বাস্তব টা জানতে পারতেন না ওনারা। কিন্তু এইদিন প্রথমে এক জন একজন করে বিভিন্ন দোকানে যাওয়ার ফলে বাজারে কি ভাবে ক্রেতাদের ঠকানো হয় তার প্রমান প্রশাসনিক আধিকারিকরা হাতেনাতে পেয়েছেন। তবে এই দিন দুর্গা চৌমুহনী বাজারে লক্ষ্য করা গেছে বাজার সমিতি এগিয়ে এসে প্রশাসনিক কাজের অসহযোগিতা করতে। তবে বাজার কমিটিগুলি যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয় তাহলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে প্রশাসনের কাছে।