স্যন্দন প্রতিনিধি। আগরতলা। ২২ জুন : ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে একটি মহল বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে জল ঘোলা করার চেষ্টা করেছে। এতে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্ত। সম্প্রতি শিক্ষা ভবনে গিয়েও তারা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার মতো মন্তব্য করেছেন। এবং শুধু তারাই নয় একাংশ নেতৃত্ব পবিত্র বিধানসভায় বসে ১০,৩২৩ -এর চাকুরি যায়নি বলে দাবি ভোটব্যাংক ধরে রাখতে চাইছে। তবে বুধবার বিষয়টা জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেছে বুধবার।
২০২১ সালে ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত তিনজন শিক্ষক ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। যার মামলার নম্বর WP(C) 334 of 2021 । এই মামলার শুনানি শেষে গত ৩ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতি টি অমরনাথ গৌড় রায় দিয়েছেন। রায়ের পর থেকে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা অংশ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ফলে রাজ্যবাসীর মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কেউ কেউ ভেবেছে তারা পুনরায় চাকুরি ফিরে পেতে চলেছে। যদিও সেটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। তারপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে গত ১৪ জুন স্পষ্টিকরণ চাওয়া হয়। ২১ জুন সেই রিভিউ পিটিশনের শুনানি হয়। এতে বিচারপতি WP(C) 334 of 2021 মামলায় গত তিন মে রায় সম্পর্কে স্পষ্টিকরণ জানান। বিচারপতি পুষ্টিকরণ রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে এডভাইজারই নোটের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। প্রধান বিচারপতি স্পষ্টিকরণে বলেছেন গত ৩ মে তিনি যে রায় দিয়েছেন সেটা সবার জন্য নয়। প্রদীপ দেববর্মা, ময়নাল হোসেন এবং কানাইলাল দাস নামে যে তিনজন মামলা করেছিলেন তাদের জন্য এ রায়। এবং দ্বিতীয়তঃ আদালত রিট পিটিশন মঞ্জুরও করেনি এবং চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের পুনঃ নিয়োগ করতে কোন নির্দেশিকাও দেয়নি। পাশাপাশি রিট আবেদনকারীদেরও পুনঃনিয়োগ করার জন্য কোন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে তৃতীয়তঃ রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলে পুলিশ দিয়ে সঠিক তদন্ত করে দেখতে পারে কারা সংবাদমাধ্যমের কাছে ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সুতরাং প্রধান বিচারপতি স্পষ্টিকরণে আরো একবার ১০,৩২৩ -এর বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে।