Sunday, May 18, 2025
বাড়িরাজ্যপুনরায় বিদ্যুৎ নিগম অফিসে গিয়ে চোখ ছানাবড়া মন্ত্রী রতন লাল নাথের

পুনরায় বিদ্যুৎ নিগম অফিসে গিয়ে চোখ ছানাবড়া মন্ত্রী রতন লাল নাথের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুন : মন্ত্রীর সফরের পরেও কর্মসংস্কৃতি ফিরে নি বনমালিপুর স্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিসের কর্মীদের। কিছুদিন পূর্বে রাজধানীর বনমালীপুর স্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিসটি পরিদর্শনে যান দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান অফিসটি ভুতের বাড়িতে পরিণত হয়ে রয়েছে। চারিরিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। পুরো অফিস চত্বর আগাছা আর জঙ্গলে পরিপূর্ণ।

 এই নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন তিনি। এবং অফিসটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর দাবড়ানি খেয়ে অফিসটি পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগায় অফিসের কর্মীরা। এইবার অফিস পরিষ্কারের কাজেও ঘোটালা সামনে আসল। অফিস পরিষ্কারের নামে ঠিকেদারের নাম ভারিয়ে গাড়ি করে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে সরকারি বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম। সংবাদ মাধ্যমের নজরে আসার পর বিষয়টি দপ্তের মন্ত্রীর গোচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে জানার পর শুক্রবার দ্রুত বনমালিপুরস্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিসে ছুটে যান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি সেখানে গিয়ে গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। তিনি দেখতে পান অফিস থেকে  বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম গাড়িতে লোড করা হচ্ছে। মন্ত্রী রতন লাল নাথ এই বিষয়ে জানতে চাইলে অফিসের কেউ কোন সদুত্তর দিতে পারে নি। এই নিয়ে মন্ত্রীর ধমকি খেতে হয় অফিসের কর্মীদের। মন্ত্রী অফিসের কর্মীদের প্রশ্ন করেন এই বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম যদি ঠিকেদারের হয়ে থাকে তবে তা সরকারি অফিসে কি করে এসেছে, অফিসের ইনচার্জ পূর্বতন ইনচার্জের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন অফিসের ইনচার্জকেও ধমকি খেতে হয়। মন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন আপনি এই অফিসের চার্জ গ্রহণ করেছেন। আপনার দায়িত্বে সবকিছু রয়েছে। তারপর মন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দেন গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম গুলি নামানোর জন্য। এবং তিনি নিজে দাড়িয়ে গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম গুলি নামিয়ে নেন।

পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান সরকারি অফিসে ঠিকেদার কাজের সুবাদে সামগ্রী রাখতে পারে। কিন্তু নেওয়ার সময় বৈধ কাগজ দেখিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বনমালিপুর স্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিস থেকে এইদিন যে সকল বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই গুলি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই সেই গুলি গাড়ি থেকে নামিয়ে রাখা হয়েছে। এইদিন সন্ধ্যার সময় বিষয়টি নিয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারপর যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার গ্রহণ করা হবে। বনমালিপুরস্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিসে একের পর এক যেন কেচু খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সরকারি অফিসে কেন ঠিকেদারের সামগ্রী থাকবে। ঠিকেদারের সামগ্রী রাখা হলে অফিসের ইনচার্জ অবগত থাকবেন না এইটা কি করে হয়। আরও বড় বিষয় হচ্ছে ঠিকেদার নিজেও বলছেন তিনি সামগ্রী গুলি সরকারি অফিসে রেখেছেন তার কোন প্রমান নেই। তাহলে কি করে ঠিকেদারের নাম ভারিয়ে বনমালিপুর স্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিভিশন-২ অফিস থেকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম গুলি গাড়িতে করে পাচার কড়া হচ্ছে। তার পিছনে গভীর রহস্য রয়েছে বলে মনে করছে সকলে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য