Saturday, January 25, 2025
বাড়িরাজ্যবিধানসভায় সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা সাংবাদিককে

বিধানসভায় সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা সাংবাদিককে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ জুন : সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা পবিত্র বিধানসভায়, মিলল না সাংবাদিকের অনুমতি। কলকাঠি নাড়লেন বিধানসভার সচিব বিপি কর্মকার। উল্লেখ্য, পবিত্র বিধানসভায় চলছে ভুতুরের কান্ড। নিচু মহল থেকে উপর মহল পর্যন্ত বিধানসভায় কায়েম করে রেখেছে এক প্রকার ভাবে সুশাসনের নাম করে দুর্শাসন। বিধানসভায় যখন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তখন সাংবাদিকদের অভ্যর্থনা জানিয়ে নিয়ে যায়।

আর যখন কোন একটি ভুল ত্রুটি বিধানসভার অন্দরে ঘটে তখন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের নিউজ কভারেজ করার অনুমতি পর্যন্ত দেন না। অর্থাৎ তখন বুঝে নিতে হয় ডাল মে কুচ কালা হে। সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই বিধানসভায় পেপারলেস প্রশিক্ষণের মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সফটওয়্যার নষ্ট হওয়ার কারণে এদিন প্রশিক্ষণ ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ ছিল। আর এই খবরটি স্যন্দন পত্রিকা এবং স্যন্দন টিভির সংবাদ কর্মীর কাছে পৌঁছানোর পর সাথে সাথে বিধানসভায় ছুটে যান খবরটি সংগ্রহ করার জন্য। তখন সিকিউরিটি গার্ড দ্বারা প্রথমে ত্রিপুরা বিধানসভার সচিব বি পি কর্মকারের কাছে যায় সংবাদ কর্মী।

সংবাদকর্মী প্রশিক্ষণ শিবিরটির অনুমতি চান। কিন্তু সংবাদকর্মীকে অনুমতি না দিয়ে তিনি বলেন অধ্যক্ষের সাথে দেখা করার জন্য। যথারীতি অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পালের সাথে দেখা করতে যান সংবাদ কর্মী। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন উপাধ্যক্ষ রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। সংবাদকর্মী পুনরায় বিধানসভা সচিবের কাছে এসে বিষয়টি জানান। বিধানসভার সচিব বলেন অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি কিছুই করতে পারবেন না। তখন সাংবাদিক সচিবকে বলেন আপনি বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে ফোনে যোগাযোগ করুন। কিন্তু তিনি বলে দিলেন উনার কাছে কিছু করার নেই। তারপর সাংবাদিক বিষয়টি স্যন্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে -র সাথে ফোন কথা বলায়। কিন্তু বিধানসভার সচিব বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়ে দেন। ফোন রেখে তিনি আবারও সাংবাদিককে বলেন উনার কাছে কিছু করার নেই। অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।

 তখন সাংবাদিক ভালো করে বুঝে গেছেন যে এই দিন বিধানসভার ভেতরে ডিজিটাল ইন্ডিয়া অঙ্গ হিসেবে যে পেপার লেস প্রশিক্ষণ শিবির চলছে সেখানে হয়তো সূত্রের খবরটি সত্যিই ঘটেছে। নাহলে বিধানসভার সচিব পদে বসে থাকা একজন দায়িত্ববান আধিকারিক এভাবে নিজের দায় এড়াতে পারেন না। প্রশ্ন একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি কিভাবে পবিত্র বিধানসভার চেয়ারে বসে দায়িত্ব এড়িয়ে গেলেন এদিন। এবং সত্যিই যদি বিধানসভায় প্রশিক্ষণের বিধায়কদের এভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাহলে এটা অত্যন্ত হাস্যকর হয়ে উঠেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া।  ভাবতে হবে কত পতন হয়ে গেল বিধানসভায় কতিপয় উপরমহল থেকে নিচু মহলের। কার মদতে এভাবে ঠেলাঠেলি করে এদিন সংবাদ কর্মীকেও দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সেটাও জানা নেই। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং সচিবের নেমপ্লেটের ছবি পর্যন্ত তুলতে দেওয়া হয়নি সংবাদ কর্মীকে। বাধা দেয় রিসিপশনে বসে থাকা সিকিউরিটি গার্ড। তিনি বলেন সচিবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিধানসভায় সচিবের নেমপ্লেটর ছবি তোলা যাবে। সাথে সাথে এ বিষয়টা সংবাদকর্মীরা জানান এ ধরনের পাঠ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে আসেন নি। তারপর তিনি চেয়ার ছেড়ে রিসিপশন থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু বিধানসভার সচিব এদিন যা করেছে সেই কাজ কার অনুমতি নিয়ে করেছেন, পেছন কে মদত দিয়েছে এদিন সংবাদ সংগ্রহ করতে সেটা ভালো করে জানা। যার কারনে এদিন তাদের মুখ লুকাতে হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য