স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুন : ক্রেতা সুরক্ষা নেই মহারাজগঞ্জ বাজারে। চলছে ভোক্তা বঞ্চনা। অভিযোগ বহুবার ওঠার পর অবশেষে কুম্ভ নিদ্রা ভাঙলো সদর মহকুমা প্রশাসনের। সোমবার গা ঝারা দিয়ে মহারাজগঞ্জ বাজারের হোলসেল ফর্ম গুলিতে অভিযানে যান সদর মহকুমা অফিসের ডেপুটি কালেক্টর ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জিত কুমার দাসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
উপস্থিত ছিলেন খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের ফুড ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য আধিকারিক। এই অভিযানে গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বিশেষ করে প্রত্যক্ষ করেন ক্যাশ মেমো সঠিকভাবে দেওয়া হয় না ক্রেতাদের। এবং যে ক্যাশ মেমো ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে দোকানের নাম, ঠিকানা নেই। সাদা হলুদ কাগজের মধ্যে থাকছে শুধু জিনিসের নাম এবং জিনিসের দাম। এর চেয়েও আশ্চর্যজনক বিষয় হলো দোকানের হিসেবে খাতার মূল্যের সাথে ক্যাশ মেমোর মূল্যের রাত দিন তফাৎ। যা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় আধিকারিকদের। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ভূমিকা নিতে লক্ষ্য করা যায়নি প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
তারা সেদিন হোলসেল ফার্মের মালিকদের সাথে কিছুক্ষণ গলা উঁচিয়ে কথা বলে পিঠ হাতিয়ে আবার হাসিমুখে অফিসে ফিরলেন। বলে আসেন অফিসে দেখা করার জন্য। কোন সমস্যা হলে সেটা যে রফাদফা হয়ে যাবে সেটা ভালো করে বোঝা গেছে এই দিন। ডি সি এম রঞ্জিত দাস স্বীকার করেন, ক্রেতা অসুরক্ষার বিষয় এবং ভোক্তা বঞ্চনার অভিযোগ প্রতিনিয়ত মিলছে তাদের। তাই গত কয়েকদিন আগে বাজারে বাজারে যখন বৈঠক হয়েছিল বহু অভিযোগ পেয়েছিলেন তারা। তাই এদিন অভিযানে এসেছেন। তারা প্রত্যক্ষ করেছেন ক্যাশ মেমোর মূল্যের সাথে দোকানের হিসেবের খাতার মূল্য অনেকটাই তফাৎ। আবার হোলসেল ব্যবসায়ীরা বহু ক্রেতাকে ক্যাশ মেমো পর্যন্ত দিচ্ছে না। তিনি আরো জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। তবে প্রশাসনের এই অভিযান কতটা অক্সিজেন দিয়েছে ভোক্তাদের সেটা জানা নেই। যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এভাবে বাজারে ব্যবসা করে চলেছে ভোক্তা মহল থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি উঠছে।