স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুন : দ্বিতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পঞ্চায়েত গুলিতে চলছে নাটক মঞ্চ। কখনো আনা হচ্ছে অনাস্থা, আবার কখনো ললিপপ পেয়ে অনাস্থা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে উপর মহল। কার মদতে চলছে এগুলি জানা নেই।
কিন্তু গত ৬ জুন মানিকভান্ডার পঞ্চায়েত প্রধান রাজদীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দূর্গাচৌমুহনি ব্লকের বি ডি ও তুষার আলমের কাছে সাতজন পঞ্চায়েত সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। তারা প্রধানের কাজকর্মে সন্তুষ্ট ছিল না। কিন্তু সোমবার এই সাতজনের মধ্যে চারজন তাদের অনাস্থা প্রত্যাহার করে নেয়। দূর্গাচৌমুহনি ব্লকে গিয়ে এই অনাস্থা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জমা দেন।
আবেদনপত্রে তারা জানাস দলগত আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। প্রধানের কাজকর্মের উপর তাদের এখন বিশ্বাস এসেছে। কোন ধরনের সমস্যা নেই প্রধানের কাজকর্মের উপর। তাদের কাছে ব্লক আধিকারিক জানতে চান কেন তারা আবার অনাস্থা প্রত্যাহার করতে চাইছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা জানান ভুলবশত তারা অনাস্থা জমা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তারা ভুল কাটিয়ে উঠে অনাস্থা প্রত্যাহার করে একসাথে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চায়। যারা এদিন অনাস্থা প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন কুসুমায়া দেববর্মা, নিখিল দাস, সীতা রানী দে, জয়ন্তী কন্দা। হরিভূষণ ঘোষ, সসেন্দ্র সেন ও বাবুল সেন অনাস্থা প্রত্যাহার করেনি। তবে চারজন প্রত্যাহার করায় মানিক ভান্ডার পঞ্চায়েতের প্রধান সহ ছয়জন একদিকে। বাকি তিনজন অপরদিকে। যাই হোক এখন দেখার পঞ্চায়েত বডি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন ব্লক আধিকারিক।