স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুন : চারদিকে শুধু হাহাকার, কান্নার রোল, করমন্ডল দুর্ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে ওড়িশার বালেশ্বরে লাইন বহু মানুষের। এখন পর্যন্ত আহতদের সংখ্যা প্রায় ছয় শতাধিকের গন্ডি অতিক্রম হয়ে গেছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৩৮ জন। খবর পেয়ে বালেশ্বর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনাস্থলেই জরুরি বৈঠক করবেন তিনি। এই ঘটনার শোক জ্ঞাপন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
উল্লেখ্য, ওড়িশার বালেশ্বরে এই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা গোটা দেশে শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে। এই ঘটনাস্থলে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই ধ্বংসের ছবি। খবর পেয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দুর্ঘটনাস্থলেই জরুরি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। দেখা করবেন আহতদের সঙ্গে। ওড়িশায় ৩টি ট্রেনের দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ওড়িশার বালেশ্বর এখন মৃত্যুপুরী। সূত্রের খবর, রেল দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ, আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রধান হিসাবে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন মোদী। ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। যদিও রেল জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। আহত ৬৫০ জনেরও বেশি। আহতদের জন্য রক্তদান করতে লাইন দিয়েছেন বহু মানুষ। এই ছবিই ধরা পড়েছে বালেশ্বরে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাতে টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ আধিকারিকরা। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘটনার শোক জ্ঞাপন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এই ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে।