স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ জুন : সব শেষ, মাপ করে দিও। পুলিশের হেফাজত থেকে অভিযুক্ত স্বামী আহত গৃহবধূ তথা তহশীলদারকে হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজটি করেছেন। কিন্তু পুলিশ হেফাজতে থেকে অভিযুক্ত স্বামী কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পরকীয়া সন্দেহে বুধবার ধর্মনগরে তহশীল অফিসে কর্মরত তহশীলদারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করলেন তার স্বামী।
ছুরির আঘাতে আহত তহশীলদার পম্পা দেবকে ধর্মনগর হাসপাতাল থেকে জিবি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে রেফার করা হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে জিবি হাসপাতালে। ঘটনা খবর পেয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী বৃহস্পতিবার জিবি হাসপাতালে ছুটে যান। আহত তহশীলদারের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনার সম্পর্কে অবহিত হন। পরবর্তী সময় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী জানান, বর্তমানে তার আহত তহশীলদার তথা গৃহবধুর স্বামী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ঘটনা তদন্ত চলছে। এবং অভিযুক্ত স্বামী জুয়েল দত্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী।
তিনি আরো বলেন এ ধরনের ঘটনা সভ্য সমাজে অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবং এই ঘটনার পেছনে মূলত দায়ী নেশা। কারণ অভিযুক্ত স্বামী নেশাগ্রস্ত হয়ে বিয়ের পর থেকে এভাবে জ্বালা যন্ত্রণা দিয়ে চলেছে গৃহবধূকে। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আরো জানান বিগত বছর শাশুড়ির উপর এভাবে আক্রমণ সংঘটিত করেছিল গৃহবধুর স্বামী। এক বছর পর আবারো এই ধরনের ঘটনা সংগঠিত করেছে। এর সুবিচার চান বলে জানান তিনি। এদিকে আহত গৃহবধূর প্রশ্ন পুলিশ হেফাজতে থেকে কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে তার স্বামী ? পুলিশের কাছে দাবি তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি না যাওয়া পর্যন্ত যাতে অভিযুক্ত স্বামীকে মুক্ত না করা হয়। কারণ তার বাড়িতে বাবা এবং কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ধর্মনগরে।